ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে আমাদের জবাব হবে কঠোর ও চূড়ান্ত: খামেনি ১১ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা: এনবিআর সাবেক র‍্যাব কর্মকর্তা সোহায়েল গুম মামলায় গ্রেপ্তার, কারাগারে প্রেরণ ঈদযাত্রায় সড়কে প্রতিদিন গড় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের: রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের জাতীয় সংবিধানিক কাউন্সিল গঠনে একমত নাগরিক পার্টি, কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য: নাহিদ ইসলাম এসএসএফকে কাজ করতে হবে সব দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস-তারেক বৈঠকে আপত্তি একটি দলের, মন্তব্য মির্জা ফখরুলের শাহবাগ-পল্টন থানার দুই মামলায় আনিসুল হকসহ ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর কুয়ালালামপুরে ফের গুলির ঘটনা, শপিংমলের সামনে ২ জনকে হত্যা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায় বিশ্ববাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণ-রুপার দাম

ইউনূস-তারেক বৈঠকে আপত্তি একটি দলের, মন্তব্য মির্জা ফখরুলের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / 1

ছবি সংগৃহীত

 

লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক বৈঠক নিয়ে একটি দলের আপত্তি থাকায় তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, “নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে, ড. ইউনূসের আমন্ত্রণে তারেক রহমানের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। এই বৈঠক একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। সেখানে দুই নেতা সংঘর্ষের পথ না নিয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির বিষয়ে একমত হন। এটি রাষ্ট্রনায়কোচিত সিদ্ধান্ত। দেশের মানুষও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।”

তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “একটি দল এই বৈঠককে পছন্দ করেনি বলেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নেয়নি। তারা এখন গুরুত্বপূর্ণ মনে করলেও, যখন নির্বাচন হবে এবং নতুন সরকার গঠিত হবে, তখন তাদের গুরুত্ব আর থাকবে না। এই আশঙ্কা থেকেই তারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করতে চাই না। মানুষকে ভয় দেখিয়ে, জোর করে অধিকার হরণ করে রাজনীতি করতে চাই না। যারা এমন করে, তারা আসলে আওয়ামী লীগের চরিত্র ধারণ করছে এটা আমাদের দলে চলবে না। মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে, সেটাই বিএনপির নির্দেশ।”

দলীয় সদস্য সংগ্রহ নিয়েও কঠোর বার্তা দেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে নেব না, তবে যারা ভালো মানুষ, তারা যদি আগ্রহ দেখায় তাদের বাদও দেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের প্রমাণিত মাফিয়া, দখলদার, দুর্নীতিবাজদের দলে নেওয়া যাবে না। তবে যারা রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না, কিন্তু ভালো মানুষ তাদের বেছে নিয়ে দলে সংযুক্ত করতে হবে।”
\
এই সদস্যপদ নবায়নের মাধ্যমে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন দলের মহাসচিব।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউনূস-তারেক বৈঠকে আপত্তি একটি দলের, মন্তব্য মির্জা ফখরুলের

আপডেট সময় ০৫:২১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক বৈঠক নিয়ে একটি দলের আপত্তি থাকায় তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, “নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে, ড. ইউনূসের আমন্ত্রণে তারেক রহমানের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। এই বৈঠক একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। সেখানে দুই নেতা সংঘর্ষের পথ না নিয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির বিষয়ে একমত হন। এটি রাষ্ট্রনায়কোচিত সিদ্ধান্ত। দেশের মানুষও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।”

তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “একটি দল এই বৈঠককে পছন্দ করেনি বলেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নেয়নি। তারা এখন গুরুত্বপূর্ণ মনে করলেও, যখন নির্বাচন হবে এবং নতুন সরকার গঠিত হবে, তখন তাদের গুরুত্ব আর থাকবে না। এই আশঙ্কা থেকেই তারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করতে চাই না। মানুষকে ভয় দেখিয়ে, জোর করে অধিকার হরণ করে রাজনীতি করতে চাই না। যারা এমন করে, তারা আসলে আওয়ামী লীগের চরিত্র ধারণ করছে এটা আমাদের দলে চলবে না। মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে, সেটাই বিএনপির নির্দেশ।”

দলীয় সদস্য সংগ্রহ নিয়েও কঠোর বার্তা দেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে নেব না, তবে যারা ভালো মানুষ, তারা যদি আগ্রহ দেখায় তাদের বাদও দেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের প্রমাণিত মাফিয়া, দখলদার, দুর্নীতিবাজদের দলে নেওয়া যাবে না। তবে যারা রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না, কিন্তু ভালো মানুষ তাদের বেছে নিয়ে দলে সংযুক্ত করতে হবে।”
\
এই সদস্যপদ নবায়নের মাধ্যমে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন দলের মহাসচিব।