গুমের তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ১০:১২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
- / 7
গত দেড় দশকে সংঘটিত গুমের ঘটনাগুলোর নিরপেক্ষ তদন্তে জাতিসংঘের যেকোনো ধরনের সহায়তা বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের গুম বা নিখোঁজসংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের (ডব্লিউজিআইডি) ভাইস চেয়ারপারসন গ্রাজিনা বারানোস্কা এবং সদস্য আনা লোরেনা ডেলগাদিয়ো পেরেজের সঙ্গে সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমি চাই জাতিসংঘ আমাদের চলমান তদন্তপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুক। এতে তদন্ত কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে।” তিনি আরও জানান, সরকার গঠিত তদন্ত কমিশন ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি করেছে এবং কমিশনের মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “তদন্ত কমিশনের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হলেও তাঁরা নির্ভয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি বলেছিলাম, দর্শনার্থীদের জন্য একটি ‘ভয়ের জাদুঘর’ থাকা উচিত যেখানে এই ঘটনার ইতিহাস থাকবে। এ ধরনের উদ্যোগে জাতিসংঘের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।”
সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা গুমের ঘটনা প্রতিরোধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ সনদ (আইসিপিপিইডি)-এ বাংলাদেশের সংযুক্তিকে তাঁরা ইতিবাচকভাবে দেখছেন। যদিও তাঁরা উল্লেখ করেন, এই খাতে আরও অনেক কিছু করা প্রয়োজন।
ডব্লিউজিআইডি-এর ভাইস চেয়ারপারসন গ্রাজিনা বারানোস্কা বলেন, “২০১৩ সাল থেকে আমরা বাংলাদেশে গুম ইস্যুতে কাজ করার চেষ্টা করছি। তদন্ত কমিশন গঠন করায় আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “এই কমিশনের কার্যক্রম সরকারের একটি বড় অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ। এটি আমাদের জন্যও একটি বিরাট সম্মান।”
জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলটি ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান বারানোস্কা।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ১৩ বছর পর জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধিদলকে দেশে স্বাগত জানাতে পেরে। আমরা চাই আপনারা তদন্ত কমিশনের কাজে সহযোগিতা করুন, দিকনির্দেশনা দিন এবং প্রয়োজনীয় শক্তি জোগান।”
সূত্র: বাসস।