০৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

শেখ হাসিনা শিশু-কিশোরদের হত্যা করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন: রিজভী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 47

ছবি সংগৃহীত

 

 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা শিশু-কিশোরদের হত্যা করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছে। তারা লোক দেখানো নামাজের কথা বলতেন।”

বিজ্ঞাপন

রোববার (১১ মে) বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শান্তি শোভাযাত্রা শেষে এক সমাবেশে এসব মন্তব্য করেন তিনি। রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে পার্থক্য জনগণ স্পষ্টভাবে দেখেছে। দেশের মানুষ বেগম জিয়াকে শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে। আর শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থা নেই।”

তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের অনেক প্রত্যাশা থাকলেও, তারা এখনো নিরুত্তর। নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়লেও সরকার কোনো সাড়া দিচ্ছে না। এতে জনগণের মাঝে নতুন করে সন্দেহ দানা বাঁধছে।”

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “ফ্যাসিবাদের প্রতিনিধি আবদুল হামিদ এখনো লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টারা তাকে সহযোগিতা করেছে বলেই তিনি পালাতে পেরেছেন। না হলে এভাবে একজন সাবেক রাষ্ট্রপতির গোপনে দেশত্যাগের কথা ভাবাই যায় না।”

ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন রিজভী। তিনি বলেন, “সাতক্ষীরা ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারত থেকে লোক ঢুকছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ বা ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে না। এর দায় শেখ হাসিনার পথ অনুসরণ করা অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে।”

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, “বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি খুব কম দেশেই আছে। এটাই ভারতের জন্য ঈর্ষার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অবস্থায় ভারত কখনোই বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হতে পারে না।”

রিজভীর বক্তব্যে সরকারের প্রতি অব্যাহত সমালোচনার পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বানও উঠে আসে। সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীরা ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের’ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ হাসিনা শিশু-কিশোরদের হত্যা করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন: রিজভী

আপডেট সময় ০৩:৫১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা শিশু-কিশোরদের হত্যা করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছে। তারা লোক দেখানো নামাজের কথা বলতেন।”

বিজ্ঞাপন

রোববার (১১ মে) বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শান্তি শোভাযাত্রা শেষে এক সমাবেশে এসব মন্তব্য করেন তিনি। রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে পার্থক্য জনগণ স্পষ্টভাবে দেখেছে। দেশের মানুষ বেগম জিয়াকে শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে। আর শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থা নেই।”

তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের অনেক প্রত্যাশা থাকলেও, তারা এখনো নিরুত্তর। নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়লেও সরকার কোনো সাড়া দিচ্ছে না। এতে জনগণের মাঝে নতুন করে সন্দেহ দানা বাঁধছে।”

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “ফ্যাসিবাদের প্রতিনিধি আবদুল হামিদ এখনো লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টারা তাকে সহযোগিতা করেছে বলেই তিনি পালাতে পেরেছেন। না হলে এভাবে একজন সাবেক রাষ্ট্রপতির গোপনে দেশত্যাগের কথা ভাবাই যায় না।”

ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন রিজভী। তিনি বলেন, “সাতক্ষীরা ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারত থেকে লোক ঢুকছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ বা ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে না। এর দায় শেখ হাসিনার পথ অনুসরণ করা অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে।”

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, “বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি খুব কম দেশেই আছে। এটাই ভারতের জন্য ঈর্ষার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অবস্থায় ভারত কখনোই বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হতে পারে না।”

রিজভীর বক্তব্যে সরকারের প্রতি অব্যাহত সমালোচনার পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বানও উঠে আসে। সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীরা ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের’ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।