ঢাকা ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার

শেখ হাসিনা শিশু-কিশোরদের হত্যা করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন: রিজভী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 22

ছবি সংগৃহীত

 

 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা শিশু-কিশোরদের হত্যা করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছে। তারা লোক দেখানো নামাজের কথা বলতেন।”

রোববার (১১ মে) বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শান্তি শোভাযাত্রা শেষে এক সমাবেশে এসব মন্তব্য করেন তিনি। রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে পার্থক্য জনগণ স্পষ্টভাবে দেখেছে। দেশের মানুষ বেগম জিয়াকে শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে। আর শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থা নেই।”

তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের অনেক প্রত্যাশা থাকলেও, তারা এখনো নিরুত্তর। নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়লেও সরকার কোনো সাড়া দিচ্ছে না। এতে জনগণের মাঝে নতুন করে সন্দেহ দানা বাঁধছে।”

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “ফ্যাসিবাদের প্রতিনিধি আবদুল হামিদ এখনো লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টারা তাকে সহযোগিতা করেছে বলেই তিনি পালাতে পেরেছেন। না হলে এভাবে একজন সাবেক রাষ্ট্রপতির গোপনে দেশত্যাগের কথা ভাবাই যায় না।”

ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন রিজভী। তিনি বলেন, “সাতক্ষীরা ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারত থেকে লোক ঢুকছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ বা ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে না। এর দায় শেখ হাসিনার পথ অনুসরণ করা অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে।”

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, “বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি খুব কম দেশেই আছে। এটাই ভারতের জন্য ঈর্ষার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অবস্থায় ভারত কখনোই বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হতে পারে না।”

রিজভীর বক্তব্যে সরকারের প্রতি অব্যাহত সমালোচনার পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বানও উঠে আসে। সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীরা ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের’ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ হাসিনা শিশু-কিশোরদের হত্যা করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন: রিজভী

আপডেট সময় ০৩:৫১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা শিশু-কিশোরদের হত্যা করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছে। তারা লোক দেখানো নামাজের কথা বলতেন।”

রোববার (১১ মে) বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শান্তি শোভাযাত্রা শেষে এক সমাবেশে এসব মন্তব্য করেন তিনি। রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে পার্থক্য জনগণ স্পষ্টভাবে দেখেছে। দেশের মানুষ বেগম জিয়াকে শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে। আর শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থা নেই।”

তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের অনেক প্রত্যাশা থাকলেও, তারা এখনো নিরুত্তর। নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়লেও সরকার কোনো সাড়া দিচ্ছে না। এতে জনগণের মাঝে নতুন করে সন্দেহ দানা বাঁধছে।”

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “ফ্যাসিবাদের প্রতিনিধি আবদুল হামিদ এখনো লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টারা তাকে সহযোগিতা করেছে বলেই তিনি পালাতে পেরেছেন। না হলে এভাবে একজন সাবেক রাষ্ট্রপতির গোপনে দেশত্যাগের কথা ভাবাই যায় না।”

ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন রিজভী। তিনি বলেন, “সাতক্ষীরা ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারত থেকে লোক ঢুকছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ বা ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে না। এর দায় শেখ হাসিনার পথ অনুসরণ করা অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে।”

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, “বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি খুব কম দেশেই আছে। এটাই ভারতের জন্য ঈর্ষার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অবস্থায় ভারত কখনোই বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হতে পারে না।”

রিজভীর বক্তব্যে সরকারের প্রতি অব্যাহত সমালোচনার পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বানও উঠে আসে। সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীরা ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের’ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।