ঢাকা ০১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
খুলনায় ট্রাকের ধাক্কায় ইজিবাইকের ২ যাত্রী নিহত, আহত ৪ অক্টোবরের মধ্যে ভাঙাচোড়া রাস্তা সংস্কার ও পুরোনো বাস সরানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা মেক্সিকোর একটি শ্মশান থেকে স্তূপীকৃত ৩৮১ মরদেহ উদ্ধার ইতিহাসে প্রথম চীনে অনুষ্ঠিত হলো এআই-চালিত হিউম্যানয়েড রোবট ফুটবল ম্যাচ পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে বন্যা ও ঘরধস, প্রাণ হারাল আরও ৮ জন আবু সাঈদ হত্যা: মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল সুদানের স্বর্ণখনি ধসে ১১ শ্রমিক নিহত, আহত ৭ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে এখনো পুরোপুরি আশ্বস্ত নয় বিএনপি: মোশাররফ হোসেন ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ আজ বিকেলে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার

ইউপিডিএফের লক্ষ্য গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠন: মাইকেল চাকমা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • / 40

ছবি: সংগৃহীত

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমা বলেছেন, ইউপিডিএফের মূল লক্ষ্য একটি মানবিক, কল্যাণকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠন। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে।

শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ইউপিডিএফের বৈঠকের শুরুতেই তিনি এ কথা বলেন।

মাইকেল চাকমা বলেন, বাংলাদেশ একটি বহুজাতিক, বহু ভাষাভাষীর বৈচিত্র্যময় দেশ। এ দেশের প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকারের স্বীকৃতির মাধ্যমেই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব। ইউপিডিএফ সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে চলেছে।

তিনি আরও বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত জাতি ও জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমরা বহুদিন ধরে সক্রিয় রয়েছি। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানেও ইউপিডিএফ সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। সংগঠনের শুরু থেকেই আমরা অন্যায়, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছি। আমাদের ইচ্ছা ছিল—বাংলাদেশ হবে একটি সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, যেখানে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব জাতিগোষ্ঠী তাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে সমান মর্যাদায় বসবাস করতে পারবে।”

তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে মাইকেল চাকমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো যে অবস্থা বিরাজ করছে, তাতে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম আমাদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।”

বৈঠকে মাইকেল চাকমার নেতৃত্বে ইউপিডিএফের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। দলের অন্য সদস্যরা হলেন—বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অমল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি ও ইউপিডিএফ সদস্য জিকো ত্রিপুরা এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি ও ইউপিডিএফের সদস্য সুনয়ন চাকমা।

আলোচনার সঞ্চালনায় ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।

এই আলোচনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সংকট ও সামগ্রিক অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে এক নতুন আলোচনার পরিসর তৈরি হলো বলে আশা করা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউপিডিএফের লক্ষ্য গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠন: মাইকেল চাকমা

আপডেট সময় ০৩:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমা বলেছেন, ইউপিডিএফের মূল লক্ষ্য একটি মানবিক, কল্যাণকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠন। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে।

শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ইউপিডিএফের বৈঠকের শুরুতেই তিনি এ কথা বলেন।

মাইকেল চাকমা বলেন, বাংলাদেশ একটি বহুজাতিক, বহু ভাষাভাষীর বৈচিত্র্যময় দেশ। এ দেশের প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকারের স্বীকৃতির মাধ্যমেই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব। ইউপিডিএফ সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে চলেছে।

তিনি আরও বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত জাতি ও জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমরা বহুদিন ধরে সক্রিয় রয়েছি। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানেও ইউপিডিএফ সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। সংগঠনের শুরু থেকেই আমরা অন্যায়, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছি। আমাদের ইচ্ছা ছিল—বাংলাদেশ হবে একটি সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, যেখানে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব জাতিগোষ্ঠী তাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে সমান মর্যাদায় বসবাস করতে পারবে।”

তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে মাইকেল চাকমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো যে অবস্থা বিরাজ করছে, তাতে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম আমাদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।”

বৈঠকে মাইকেল চাকমার নেতৃত্বে ইউপিডিএফের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। দলের অন্য সদস্যরা হলেন—বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অমল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি ও ইউপিডিএফ সদস্য জিকো ত্রিপুরা এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি ও ইউপিডিএফের সদস্য সুনয়ন চাকমা।

আলোচনার সঞ্চালনায় ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।

এই আলোচনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সংকট ও সামগ্রিক অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে এক নতুন আলোচনার পরিসর তৈরি হলো বলে আশা করা যায়।