ঢাকা ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কূটনৈতিক আলোচনায় ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রকে হামলার হুমকি প্রত্যাহারের আহ্বান ইরানের নওগাঁয় ভরা মৌসুমেও চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী, বস্তাপ্রতি বেড়েছে ৪০০ টাকা ইরানের কারাগারে ইসরায়েলি হামলায় ৭১ জন নিহত, নিখোঁজ বহু বন্দি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭২, ত্রাণ কেন্দ্রেও হামলা যুক্তরাষ্ট্রের পাহাড়ি অঞ্চলে স্নাইপার হামলা, নিহত ২ ফায়ার সার্ভিস কর্মী হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৬০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি হাজি চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত ওপেক প্লাসের উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনায় বিশ্ববাজারে তেলের বাজারে দামে পতন মেসির ইন্টার মায়ামিকে উড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে পিএসজি

পাকিস্তানের অভিযোগ: কাশ্মিরে হামলার পেছনের সত্য

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩১:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 56

ছবি সংগৃহীত

 

ভারত-শাসিত কাশ্মিরে সাম্প্রতিক এক প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আবারও তীব্র হয়েছে। হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও, ইসলামাবাদ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, এটি একটি ‘সাজানো নাটক’। তবে এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি পাকিস্তান।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে যে পর্যটক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এটি একটি ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন—যেখানে নিজেদের পরিকল্পনায় ঘটনা ঘটিয়ে অন্যের ওপর দোষ চাপানো হয়।”

তিনি আরও দাবি করেন, কাশ্মিরে সক্রিয় কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সম্পর্ক নেই। “কাশ্মিরে যা হচ্ছে, তা নিয়ে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীকে সমর্থন করি না,”—বলেন আসিফ।

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারও ভারতের তৎপরতাকে ‘শিশুসুলভ’ এবং ‘গুরুত্বহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ভারত প্রতিবারই পাকিস্তানকে দোষারোপ করে এবং এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে আমরা যথাযথভাবে জবাব দেব, এবং সেই জবাব হালকা হবে না।”

কাশ্মির ইস্যু দীর্ঘদিন ধরেই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনার মূল কারণ। ১৯৮৯ সাল থেকে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে স্বাধীনতার দাবিতে বিদ্রোহ চলছে। অনেক কাশ্মিরি মুসলমান চায় অঞ্চলটি হয় পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হোক, অথবা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক।
ভারতের মতে, এটি পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদ, অন্যদিকে পাকিস্তান একে ‘বৈধ স্বাধীনতাকামী আন্দোলন’ হিসেবে বর্ণনা করে। এই দীর্ঘ লড়াইয়ে এ পর্যন্ত বহু বেসামরিক মানুষ, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বিদ্রোহী প্রাণ হারিয়েছেন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন করে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানের অভিযোগ: কাশ্মিরে হামলার পেছনের সত্য

আপডেট সময় ১০:৩১:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

 

ভারত-শাসিত কাশ্মিরে সাম্প্রতিক এক প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আবারও তীব্র হয়েছে। হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও, ইসলামাবাদ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, এটি একটি ‘সাজানো নাটক’। তবে এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি পাকিস্তান।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে যে পর্যটক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এটি একটি ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন—যেখানে নিজেদের পরিকল্পনায় ঘটনা ঘটিয়ে অন্যের ওপর দোষ চাপানো হয়।”

তিনি আরও দাবি করেন, কাশ্মিরে সক্রিয় কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সম্পর্ক নেই। “কাশ্মিরে যা হচ্ছে, তা নিয়ে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীকে সমর্থন করি না,”—বলেন আসিফ।

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারও ভারতের তৎপরতাকে ‘শিশুসুলভ’ এবং ‘গুরুত্বহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ভারত প্রতিবারই পাকিস্তানকে দোষারোপ করে এবং এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে আমরা যথাযথভাবে জবাব দেব, এবং সেই জবাব হালকা হবে না।”

কাশ্মির ইস্যু দীর্ঘদিন ধরেই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনার মূল কারণ। ১৯৮৯ সাল থেকে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে স্বাধীনতার দাবিতে বিদ্রোহ চলছে। অনেক কাশ্মিরি মুসলমান চায় অঞ্চলটি হয় পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হোক, অথবা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক।
ভারতের মতে, এটি পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদ, অন্যদিকে পাকিস্তান একে ‘বৈধ স্বাধীনতাকামী আন্দোলন’ হিসেবে বর্ণনা করে। এই দীর্ঘ লড়াইয়ে এ পর্যন্ত বহু বেসামরিক মানুষ, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বিদ্রোহী প্রাণ হারিয়েছেন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন করে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।