ভর্তা-মরিচ খেলে তো অসুবিধা নেই – পান্তা-ইলিশ নয়, এই বৈশাখে হোক দেশীয় ঐতিহ্যের সংরক্ষণ: উপদেষ্টা ফরিদা

- আপডেট সময় ০৫:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
- / 39
পহেলা বৈশাখ মানেই নতুন বছরকে স্বাগত জানানো, মেলা, ঢাক-ঢোল আর নানা রঙের সাজে মাতোয়ারা হওয়া। তবে বৈশাখ এলেই যে ‘পান্তা-ইলিশ’ খাওয়া একমাত্র সংস্কৃতি এই ধারণাকে ভেঙে দিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পান্তা-ইলিশ খাওয়া বাংলা সংস্কৃতির মূল ধারার অংশ নয়। এটি একটি কৃত্রিম, নগরকেন্দ্রিক সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে উঠেছে।” তিনি আরও জানান, বৈশাখের দিন ইলিশ কেনা বা খাওয়া আইন লঙ্ঘনের সামিল, কারণ এই সময়েই জাটকা সংরক্ষণের বিধিনিষেধ কার্যকর থাকে।
উপদেষ্টা বলেন, “ঢাকায় যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, তা সবসময় গ্রামবাংলার বাস্তবতা বা ঐতিহ্যের প্রতিফলন নয়। পান্তা ভাতের সঙ্গে শাক, ভর্তা, মরিচ কিংবা অন্যান্য মাছ খেলে উৎসবের আনন্দে ঘাটতি পড়বে না।”
ফরিদা আখতার গুরুত্বের সঙ্গে জানান, দেশের নদ-নদীতে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ছোট ইলিশ বা জাটকা রক্ষা করা এখন সময়ের দাবী। তিনি বলেন, “আগামী ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালিত হবে। এই সময়ে সবাইকে আহ্বান জানাই, ইলিশ নয়, বরং সচেতনতা আর ঐতিহ্যের সম্মিলনে পালন হোক আমাদের বাংলা নববর্ষ।”
বর্তমান সময়ে ইলিশের চাহিদা যতই থাকুক, তার টিকে থাকার জন্য প্রজননকালে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা জরুরি। বৈশাখে ইলিশের বদলে পান্তা-ভর্তা কিংবা দেশীয় খাবারের সংমিশ্রণে উৎসব পালন করলে যেমন ঐতিহ্য রক্ষা পাবে, তেমনি টিকবে জাতীয় সম্পদ ইলিশও।
পহেলা বৈশাখ উদযাপন হোক পরিবেশ, খাদ্য ও জীববৈচিত্র্য সচেতনতার নতুন বার্তায়।