ঢাকা ১১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর ভারতে করোনার ভয়ংকর রূপ: ভারত ভ্রমণে বিশেষ সতর্কতা জারি করলো বাংলাদেশ তিন এআই-এর লুকানো কথাবার্তা: বীপ-টোনের গোপন ভাষা! ইসরায়েল মাদলিন জাহাজ দখল করল: এরপর কী হবে? যুক্তরাজ্যে চার দিনের সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সচিবালয় ও যমুনা বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা ডিএমপির হবিগঞ্জে দীর্ঘদিনের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ঈদে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক লস এঞ্জেলেসে প্রতিবাদে বিক্ষোভ, নিয়ন্ত্রণে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন” বিশ্ব সমুদ্র দিবস আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন চলবে অধিকাংশ আন্তঃনগর ট্রেন, যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত কোচ

ভর্তা-মরিচ খেলে তো অসুবিধা নেই – পান্তা-ইলিশ নয়, এই বৈশাখে হোক দেশীয় ঐতিহ্যের সংরক্ষণ: উপদেষ্টা ফরিদা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 39

ছবি সংগৃহীত

 

পহেলা বৈশাখ মানেই নতুন বছরকে স্বাগত জানানো, মেলা, ঢাক-ঢোল আর নানা রঙের সাজে মাতোয়ারা হওয়া। তবে বৈশাখ এলেই যে ‘পান্তা-ইলিশ’ খাওয়া একমাত্র সংস্কৃতি এই ধারণাকে ভেঙে দিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

সোমবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পান্তা-ইলিশ খাওয়া বাংলা সংস্কৃতির মূল ধারার অংশ নয়। এটি একটি কৃত্রিম, নগরকেন্দ্রিক সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে উঠেছে।” তিনি আরও জানান, বৈশাখের দিন ইলিশ কেনা বা খাওয়া আইন লঙ্ঘনের সামিল, কারণ এই সময়েই জাটকা সংরক্ষণের বিধিনিষেধ কার্যকর থাকে।

উপদেষ্টা বলেন, “ঢাকায় যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, তা সবসময় গ্রামবাংলার বাস্তবতা বা ঐতিহ্যের প্রতিফলন নয়। পান্তা ভাতের সঙ্গে শাক, ভর্তা, মরিচ কিংবা অন্যান্য মাছ খেলে উৎসবের আনন্দে ঘাটতি পড়বে না।”

ফরিদা আখতার গুরুত্বের সঙ্গে জানান, দেশের নদ-নদীতে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ছোট ইলিশ বা জাটকা রক্ষা করা এখন সময়ের দাবী। তিনি বলেন, “আগামী ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালিত হবে। এই সময়ে সবাইকে আহ্বান জানাই, ইলিশ নয়, বরং সচেতনতা আর ঐতিহ্যের সম্মিলনে পালন হোক আমাদের বাংলা নববর্ষ।”

বর্তমান সময়ে ইলিশের চাহিদা যতই থাকুক, তার টিকে থাকার জন্য প্রজননকালে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা জরুরি। বৈশাখে ইলিশের বদলে পান্তা-ভর্তা কিংবা দেশীয় খাবারের সংমিশ্রণে উৎসব পালন করলে যেমন ঐতিহ্য রক্ষা পাবে, তেমনি টিকবে জাতীয় সম্পদ ইলিশও।

পহেলা বৈশাখ উদযাপন হোক পরিবেশ, খাদ্য ও জীববৈচিত্র্য সচেতনতার নতুন বার্তায়।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

ভর্তা-মরিচ খেলে তো অসুবিধা নেই – পান্তা-ইলিশ নয়, এই বৈশাখে হোক দেশীয় ঐতিহ্যের সংরক্ষণ: উপদেষ্টা ফরিদা

আপডেট সময় ০৫:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

পহেলা বৈশাখ মানেই নতুন বছরকে স্বাগত জানানো, মেলা, ঢাক-ঢোল আর নানা রঙের সাজে মাতোয়ারা হওয়া। তবে বৈশাখ এলেই যে ‘পান্তা-ইলিশ’ খাওয়া একমাত্র সংস্কৃতি এই ধারণাকে ভেঙে দিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

সোমবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পান্তা-ইলিশ খাওয়া বাংলা সংস্কৃতির মূল ধারার অংশ নয়। এটি একটি কৃত্রিম, নগরকেন্দ্রিক সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে উঠেছে।” তিনি আরও জানান, বৈশাখের দিন ইলিশ কেনা বা খাওয়া আইন লঙ্ঘনের সামিল, কারণ এই সময়েই জাটকা সংরক্ষণের বিধিনিষেধ কার্যকর থাকে।

উপদেষ্টা বলেন, “ঢাকায় যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, তা সবসময় গ্রামবাংলার বাস্তবতা বা ঐতিহ্যের প্রতিফলন নয়। পান্তা ভাতের সঙ্গে শাক, ভর্তা, মরিচ কিংবা অন্যান্য মাছ খেলে উৎসবের আনন্দে ঘাটতি পড়বে না।”

ফরিদা আখতার গুরুত্বের সঙ্গে জানান, দেশের নদ-নদীতে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ছোট ইলিশ বা জাটকা রক্ষা করা এখন সময়ের দাবী। তিনি বলেন, “আগামী ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালিত হবে। এই সময়ে সবাইকে আহ্বান জানাই, ইলিশ নয়, বরং সচেতনতা আর ঐতিহ্যের সম্মিলনে পালন হোক আমাদের বাংলা নববর্ষ।”

বর্তমান সময়ে ইলিশের চাহিদা যতই থাকুক, তার টিকে থাকার জন্য প্রজননকালে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা জরুরি। বৈশাখে ইলিশের বদলে পান্তা-ভর্তা কিংবা দেশীয় খাবারের সংমিশ্রণে উৎসব পালন করলে যেমন ঐতিহ্য রক্ষা পাবে, তেমনি টিকবে জাতীয় সম্পদ ইলিশও।

পহেলা বৈশাখ উদযাপন হোক পরিবেশ, খাদ্য ও জীববৈচিত্র্য সচেতনতার নতুন বার্তায়।