তৃতীয়বার ক্ষমতায় থাকার ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প কি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে উপেক্ষা করছেন?

- আপডেট সময় ০৪:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
- / 51
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্প্রতি তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে ক্ষমতা ছাড়তে তিনি অনাগ্রহী হতে পারেন। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান বলছে, কোনো ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।
একসময় তিনি বলেছিলেন, “আমি এক দিনের জন্য স্বৈরশাসক হতে চাই” যদিও পরে দাবি করেন, কথাটি ছিল নিছক রসিকতা। কিন্তু বারবার এমন মন্তব্যে ট্রাম্পের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়ানোয় তার দক্ষতা নতুন নয়। বিতর্ককে নিজের অস্ত্র বানিয়ে সংবাদমাধ্যমের আলো নিজের দিকে টেনে আনার কৌশল তিনি ভালোই জানেন।
২০২০ সালে জো বাইডেনের কাছে পরাজয়ের পর ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন ট্রাম্প। এমনকি নির্বাচন ছাড়াই হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার জন্য সংবিধান বাতিলের দাবি জানিয়ে আরও বিস্ময় ছড়ান। এটি ছিল এক ধরনের সাংবিধানিক বিদ্রোহ, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
এ বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফিরে এসে মাত্র ১১ সপ্তাহে তিনি বিপুলসংখ্যক নির্বাহী আদেশ জারি করেন যা আধুনিক কালে কোনো প্রেসিডেন্ট করেননি। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করে বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছেন, যার প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে।
ডেমোক্র্যাট নেতা ড্যানিয়েল গোল্ডম্যান বলেন, “এটা কেবল ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ক্ষমতার লালসা নয়, এটি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা।” তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র এখন আর আগের মতো নিরাপদ নয়। মানুষের উচিত এখনই সচেতন হওয়া, কারণ এই হামলা এখন আর কল্পনার জগতে নেই এটা বাস্তব।
প্রায় আড়াই শতাব্দী ধরে যে সাংবিধানিক কাঠামোতে যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত হয়ে আসছে, ট্রাম্পের আচরণে সেটাই আজ প্রশ্নবিদ্ধ। বহু বিশ্লেষকের আশঙ্কা, ট্রাম্পের এই কর্মকাণ্ড আমেরিকার ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক পথযাত্রার জন্য এক ভয়ানক ইঙ্গিত।
ক্ষমতার প্রতি এই অনিয়ন্ত্রিত আকর্ষণ এবং আইন অমান্য করার প্রবণতা শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্ব গণতন্ত্রের জন্যও একটি অশনি সংকেত।