ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারী ফুটবল ম্যাচে সংঘর্ষ: দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

দিনাজপুর ও জয়পুরহাটে নারী ফুটবল দলের খেলা আয়োজনের সময় সহিংসতার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দুষ্কৃতকারীদের শাস্তির দাবি করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।

তারা উল্লেখ করেন, নারী ফুটবল দল আন্তর্জাতিক বিভিন্ন খেলায় দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে, কিন্তু সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হামলা ও ভাঙচুর দেশের জন্য একটি অশনিসংকেত সৃষ্টি করছে।এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা জুলাই-আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ছিল বৈষম্য দূর করা। অথচ এই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ধর্মকে পুঁজি করে নারী-পুরুষের বৈষম্য টিকিয়ে রাখতে চায়। উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নারীদের ঘরে বন্দী রাখতে চায়। তারা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তৌহিদী জনতার নামে মাজারে হামলা ও ভাঙচুর করছে, মেয়েদের পড়াশোনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে, অভিনেত্রীদের শোরুম উদ্বোধনে বাধা দিচ্ছে এবং পাঠ্যপুস্তকের বিষয় পরিবর্তনের মতো নানা ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:২২:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
৫০৫ বার পড়া হয়েছে

নারী ফুটবল ম্যাচে সংঘর্ষ: দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

আপডেট সময় ০৪:২২:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

 

দিনাজপুর ও জয়পুরহাটে নারী ফুটবল দলের খেলা আয়োজনের সময় সহিংসতার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দুষ্কৃতকারীদের শাস্তির দাবি করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।

তারা উল্লেখ করেন, নারী ফুটবল দল আন্তর্জাতিক বিভিন্ন খেলায় দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে, কিন্তু সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হামলা ও ভাঙচুর দেশের জন্য একটি অশনিসংকেত সৃষ্টি করছে।এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা জুলাই-আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ছিল বৈষম্য দূর করা। অথচ এই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ধর্মকে পুঁজি করে নারী-পুরুষের বৈষম্য টিকিয়ে রাখতে চায়। উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নারীদের ঘরে বন্দী রাখতে চায়। তারা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তৌহিদী জনতার নামে মাজারে হামলা ও ভাঙচুর করছে, মেয়েদের পড়াশোনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে, অভিনেত্রীদের শোরুম উদ্বোধনে বাধা দিচ্ছে এবং পাঠ্যপুস্তকের বিষয় পরিবর্তনের মতো নানা ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী।