টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে পুতিনের কঠোর হুঁশিয়ারি
- আপডেট সময় ০১:০১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
- / 49
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তীব্র সতর্কবার্তা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে এই দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিলে মস্কো ও ওয়াশিংটনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দুই নেতার মধ্যে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী ফোনালাপে পুতিন এই সতর্কতা দেন। আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ শান্তি প্রচেষ্টার বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্টের সহকারী ইউরি উশাকভ মস্কোয় সাংবাদিকদের জানান, “পুতিন পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন যে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতা পাল্টাবে না। বরং এটি রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এবং ইউক্রেনে শান্তির সম্ভাবনা উভয়কেই গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”
উশাকভ আরও বলেন, ফোনালাপটি ছিল “খুবই খোলামেলা, ফলপ্রসূ ও গোপনীয়।” আলোচনায় পুতিন ট্রাম্পকে ইউক্রেন যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন এবং দাবি করেন, রুশ বাহিনী এখনো ফ্রন্টলাইনের গুরুত্বপূর্ণ অংশে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে।
অন্যদিকে ট্রাম্প আলোচনায় জোর দিয়ে বলেন, যুদ্ধ দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন এবং সংঘাতের অবসান ঘটলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন সুযোগ তৈরি হতে পারে।
ফোনালাপে দুই প্রেসিডেন্টের সম্ভাব্য মুখোমুখি বৈঠক নিয়েও আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই বুদাপেস্টে সাক্ষাতের বিষয়ে সম্মত হয়েছে বলে রুশ দিক থেকে জানানো হয়। এজন্য দুই দেশের কর্মকর্তারা শিগগিরই প্রস্তুতি শুরু করবেন।
পুতিন ও ট্রাম্পের সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল গত আগস্টে আলাস্কায়। তবে ওই বৈঠকের পর শান্তি আলোচনার অগ্রগতি থেমে যায়। এরপর থেকে ট্রাম্প ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রেখে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছেন।
ফোনালাপের পর ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “আমরা বুদাপেস্টে সাক্ষাৎ করে যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা করব।” আগামী সপ্তাহে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রস্তুতিমূলক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন। আলোচনার মূল বিষয় হবে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং দীর্ঘপাল্লার অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি।























