ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানবপাচারকারীদের নির্যাতনের শিকার ১৭৫ বাংলাদেশি লিবিয়া থেকে ফিরলেন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:০৩:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

লিবিয়ার বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৭৫ জন বাংলাদেশিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে বুরাক এয়ারলাইন্সের UZ222 ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

প্রত্যাবাসনের সময় লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশারের নেতৃত্বে দূতাবাসের প্রতিনিধি দল গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন এবং প্রবাসীদের বিদায় জানান।

রাষ্ট্রদূত লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ ও আইওএমের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তিনি বৈধ ও নিরাপদ উপায়ে বিদেশে যাওয়ার ওপর জোর দিয়ে বলেন, দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরও আহ্বান জানান, দেশে ফিরে প্রবাসীরা যেন নিজ এলাকায় অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করেন এবং মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেন। রাষ্ট্রদূত আশ্বাস দেন, দূতাবাস থেকে এ বিষয়ে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

এর আগে বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপোলি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, আটক বাংলাদেশিদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে দূতাবাস স্থানীয় প্রশাসন ও আইওএমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে বিপদে পড়া অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় দেশে ফেরাতে এই উদ্যোগ মানবিক সহায়তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মানবপাচারকারীদের নির্যাতনের শিকার ১৭৫ বাংলাদেশি লিবিয়া থেকে ফিরলেন

আপডেট সময় ০৭:০৩:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

 

লিবিয়ার বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৭৫ জন বাংলাদেশিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে বুরাক এয়ারলাইন্সের UZ222 ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

প্রত্যাবাসনের সময় লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশারের নেতৃত্বে দূতাবাসের প্রতিনিধি দল গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন এবং প্রবাসীদের বিদায় জানান।

রাষ্ট্রদূত লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ ও আইওএমের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তিনি বৈধ ও নিরাপদ উপায়ে বিদেশে যাওয়ার ওপর জোর দিয়ে বলেন, দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরও আহ্বান জানান, দেশে ফিরে প্রবাসীরা যেন নিজ এলাকায় অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করেন এবং মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেন। রাষ্ট্রদূত আশ্বাস দেন, দূতাবাস থেকে এ বিষয়ে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

এর আগে বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপোলি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, আটক বাংলাদেশিদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে দূতাবাস স্থানীয় প্রশাসন ও আইওএমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে বিপদে পড়া অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় দেশে ফেরাতে এই উদ্যোগ মানবিক সহায়তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।