ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪২৯ জন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রগতি নেই: অভিযোগ নাহিদ ইসলামের পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গুলতি’ মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শেরপুরের হলদীগ্রাম সীমান্তে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯

সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • / 9

ছবি: সংগৃহীত

 

ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনকে দুইদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

সোমবার (৩০ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এদিন সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ ফারহান ইবনে গফুর সাবিনা আক্তার তুহিনকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ আলম শাহীন তার জামিনের আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন।

এর আগে, ২২ জুন রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল (ডিবি)। পরে ২৩ জুন তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগে এ রিমান্ড আবেদন করা হয়। তবে তার আইনজীবীর দাবি, এই মামলায় সাবিনা আক্তার তুহিনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং তিনি রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার।

এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, সাবিনা আক্তার তুহিন এর আগে যুব মহিলা লীগের শীর্ষ পদে ছিলেন এবং পরে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিমান্ডে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং মামলার আরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের চেষ্টা চালানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আপডেট সময় ০২:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

 

ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনকে দুইদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

সোমবার (৩০ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এদিন সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ ফারহান ইবনে গফুর সাবিনা আক্তার তুহিনকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ আলম শাহীন তার জামিনের আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন।

এর আগে, ২২ জুন রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল (ডিবি)। পরে ২৩ জুন তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগে এ রিমান্ড আবেদন করা হয়। তবে তার আইনজীবীর দাবি, এই মামলায় সাবিনা আক্তার তুহিনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং তিনি রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার।

এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, সাবিনা আক্তার তুহিন এর আগে যুব মহিলা লীগের শীর্ষ পদে ছিলেন এবং পরে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিমান্ডে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং মামলার আরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের চেষ্টা চালানো হবে।