ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মেসির জার্সি বিক্রিতে রেকর্ড, তালিকায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাভানও ব্যাংক খাতে লুটপাট ঘটলেও আইনের সীমাবদ্ধতায় তা প্রকাশ হয়নি: আইসিএবির সাবেক সভাপতি নারায়ণগঞ্জে ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করলো বাবা-মা নতুন ৩ জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) দলে নারী নেতৃত্ব বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে : এনসিপি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান যুক্ত হচ্ছে: নির্বাচন কমিশনার ৫ আগস্ট হবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান দিবস, ঘোষণা সরকারি ছুটির: উপদেষ্টা ফারুকী মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশিসহ ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু ইরানে হামলার অনুমোদন ট্রাম্পের, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য রাজস্থলীতে ৫০টি গ্রাম বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক থেকে বঞ্চিত

ইরানের ফোর্ডো স্থাপনা ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রই সক্ষম: মন্তব্য ট্রাম্পের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনাটি ধ্বংস করার ক্ষমতা একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেরই রয়েছে। তবে তিনি এও পরিষ্কার করে দেন, এমন বক্তব্যের অর্থ এই নয় যে তিনি এখনই সেই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন।

বুধবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “সবাই আমাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করছে, তবে আমি এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। দেখা যাক কী হয়।”

এ সময় তিনি আবারো ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ তোলেন, যদিও এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। ট্রাম্পের দাবি, “ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি, মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধান ছিল।”

তবে ইরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তেহরান বারবার জানিয়েছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানকে অভিযুক্ত করে বলেন, “তারা এখনো কোনো পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেনি।” যদিও আন্তর্জাতিক মহল জানায়, ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে ইরান স্বাক্ষর করেছিল, যা থেকে ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালে নিজ উদ্যোগে বেরিয়ে আসে।

তিনি আরও বলেন, “হয়তো এখনো কিছু করার সুযোগ আছে, কিন্তু সেটা হয়তো অনেক দেরি হয়ে গেছে।”

ট্রাম্পের এমন বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ইরানের ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনাটি দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমা গোয়েন্দাদের নজরদারিতে রয়েছে। এই স্থাপনাটি পাহাড়ের নিচে নির্মিত হওয়ায় এটিকে ধ্বংস করা অত্যন্ত কঠিন বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই বক্তব্য হয়তো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও হয়ে থাকতে পারে, তবে এতে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।

এখন দেখার বিষয়, যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক পথেই ইরান ইস্যুতে অগ্রসর হয় নাকি সামরিক হুমকির পথে হাঁটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের ফোর্ডো স্থাপনা ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রই সক্ষম: মন্তব্য ট্রাম্পের

আপডেট সময় ১০:১৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনাটি ধ্বংস করার ক্ষমতা একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেরই রয়েছে। তবে তিনি এও পরিষ্কার করে দেন, এমন বক্তব্যের অর্থ এই নয় যে তিনি এখনই সেই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন।

বুধবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “সবাই আমাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করছে, তবে আমি এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। দেখা যাক কী হয়।”

এ সময় তিনি আবারো ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ তোলেন, যদিও এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। ট্রাম্পের দাবি, “ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি, মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধান ছিল।”

তবে ইরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তেহরান বারবার জানিয়েছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানকে অভিযুক্ত করে বলেন, “তারা এখনো কোনো পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেনি।” যদিও আন্তর্জাতিক মহল জানায়, ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে ইরান স্বাক্ষর করেছিল, যা থেকে ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালে নিজ উদ্যোগে বেরিয়ে আসে।

তিনি আরও বলেন, “হয়তো এখনো কিছু করার সুযোগ আছে, কিন্তু সেটা হয়তো অনেক দেরি হয়ে গেছে।”

ট্রাম্পের এমন বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ইরানের ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনাটি দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমা গোয়েন্দাদের নজরদারিতে রয়েছে। এই স্থাপনাটি পাহাড়ের নিচে নির্মিত হওয়ায় এটিকে ধ্বংস করা অত্যন্ত কঠিন বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই বক্তব্য হয়তো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও হয়ে থাকতে পারে, তবে এতে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।

এখন দেখার বিষয়, যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক পথেই ইরান ইস্যুতে অগ্রসর হয় নাকি সামরিক হুমকির পথে হাঁটে।