ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে আমাদের জবাব হবে কঠোর ও চূড়ান্ত: খামেনি ১১ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা: এনবিআর সাবেক র‍্যাব কর্মকর্তা সোহায়েল গুম মামলায় গ্রেপ্তার, কারাগারে প্রেরণ ঈদযাত্রায় সড়কে প্রতিদিন গড় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের: রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের জাতীয় সংবিধানিক কাউন্সিল গঠনে একমত নাগরিক পার্টি, কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য: নাহিদ ইসলাম এসএসএফকে কাজ করতে হবে সব দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস-তারেক বৈঠকে আপত্তি একটি দলের, মন্তব্য মির্জা ফখরুলের শাহবাগ-পল্টন থানার দুই মামলায় আনিসুল হকসহ ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর কুয়ালালামপুরে ফের গুলির ঘটনা, শপিংমলের সামনে ২ জনকে হত্যা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায় বিশ্ববাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণ-রুপার দাম

ঈশ্বরদীতে কাভার্ড ভ্যানে সংঘর্ষ, মা-মেয়েসহ নিহত ৩

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / 11

ছবি সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন একই পরিবারের মা-মেয়ে এবং আরও একজন পথচারী। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন একজন।

বুধবার (১১ জুন) সকাল সাতটার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের মুন্নার মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নাটোর সদর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মফিজুল ইসলামের স্ত্রী সুর্বনা খাতুন, তাদের মেয়ে পূর্ণতা এবং ঈশ্বরদীর ছলিমপুর এলাকার বাসিন্দা আনিছুর রহমান। আনিছুর মুন্নার মোড় এলাকার মৃত আবেদ আলী মন্ডলের ছেলে।

ঘটনার বিষয়ে পাকশী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশফিকুর রহমান জানান, অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মফিজুল ইসলাম তার স্ত্রী ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কুষ্টিয়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে নিজ বাড়ি নাটোরে ফিরছিলেন। পথে ঈশ্বরদীর মুন্নার মোড়ে সড়কের পাশে লিচু কেনার জন্য তারা থামেন। ঠিক সেই সময় পিছন দিক থেকে দ্রুতগতির একটি কাভার্ড ভ্যান তাদের মোটরসাইকেলসহ ধাক্কা দেয়। একই সঙ্গে রাস্তার পাশে থাকা লিচু বিক্রেতা আনিছুর রহমানও গাড়ির ধাক্কায় পড়ে যান।

ধাক্কা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, ঘটনাস্থলেই মা সুর্বনা খাতুন, মেয়ে পূর্ণতা ও লিচু বিক্রেতা আনিছুর রহমানের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর আহত মফিজুল ইসলামকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই কাভার্ড ভ্যানটি পালিয়ে যায়। পুলিশ এখনও পর্যন্ত ঘাতক গাড়িটি আটক করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ওসি মোশফিকুর রহমান। তবে গাড়ি শনাক্তে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঈশ্বরদী-পাকশী মহাসড়কে অতিরিক্ত গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতামূলক ব্যবস্থা না থাকায় সাধারণ পথচারী ও যাত্রীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।

নিহতদের পরিবারে এখন শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত ঘাতক গাড়ি ও চালককে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক, পাশাপাশি মহাসড়কে ট্রাফিক তদারকি আরও জোরদার করা হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈশ্বরদীতে কাভার্ড ভ্যানে সংঘর্ষ, মা-মেয়েসহ নিহত ৩

আপডেট সময় ১২:২৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

পাবনার ঈশ্বরদীতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন একই পরিবারের মা-মেয়ে এবং আরও একজন পথচারী। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন একজন।

বুধবার (১১ জুন) সকাল সাতটার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের মুন্নার মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নাটোর সদর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মফিজুল ইসলামের স্ত্রী সুর্বনা খাতুন, তাদের মেয়ে পূর্ণতা এবং ঈশ্বরদীর ছলিমপুর এলাকার বাসিন্দা আনিছুর রহমান। আনিছুর মুন্নার মোড় এলাকার মৃত আবেদ আলী মন্ডলের ছেলে।

ঘটনার বিষয়ে পাকশী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশফিকুর রহমান জানান, অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মফিজুল ইসলাম তার স্ত্রী ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কুষ্টিয়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে নিজ বাড়ি নাটোরে ফিরছিলেন। পথে ঈশ্বরদীর মুন্নার মোড়ে সড়কের পাশে লিচু কেনার জন্য তারা থামেন। ঠিক সেই সময় পিছন দিক থেকে দ্রুতগতির একটি কাভার্ড ভ্যান তাদের মোটরসাইকেলসহ ধাক্কা দেয়। একই সঙ্গে রাস্তার পাশে থাকা লিচু বিক্রেতা আনিছুর রহমানও গাড়ির ধাক্কায় পড়ে যান।

ধাক্কা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, ঘটনাস্থলেই মা সুর্বনা খাতুন, মেয়ে পূর্ণতা ও লিচু বিক্রেতা আনিছুর রহমানের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর আহত মফিজুল ইসলামকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই কাভার্ড ভ্যানটি পালিয়ে যায়। পুলিশ এখনও পর্যন্ত ঘাতক গাড়িটি আটক করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ওসি মোশফিকুর রহমান। তবে গাড়ি শনাক্তে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঈশ্বরদী-পাকশী মহাসড়কে অতিরিক্ত গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতামূলক ব্যবস্থা না থাকায় সাধারণ পথচারী ও যাত্রীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।

নিহতদের পরিবারে এখন শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত ঘাতক গাড়ি ও চালককে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক, পাশাপাশি মহাসড়কে ট্রাফিক তদারকি আরও জোরদার করা হোক।