ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গুলতি’ মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শেরপুরের হলদীগ্রাম সীমান্তে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯ সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ জব্দ, ৫৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি দপ্তরে পার্টটাইম চাকরির উদ্যোগ ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শান্তি বজায় থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নোয়াখালীতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাওয়া এক বিধবাকে গণধর্ষণ

অর্থ ও মানবপাচার মামলায় সাবেক এমপি সেলিনা ইসলাম গ্রেপ্তার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • / 60

ছবি: সংগৃহীত

 

অর্থ ও মানবপাচারের মামলায় কুয়েতে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ মে) ঢাকার মগবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে জানান, সেলিনা ইসলাম বর্তমানে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪৯ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

জানা যায়, তার স্বামী কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল কুয়েতে মানবপাচার, ঘুষ ও অর্থপাচারের মামলায় গ্রেপ্তার ও পরে সাজাপ্রাপ্ত হন। সেই সূত্র ধরেই সেলিনা ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০২০ সালের ১১ নভেম্বর, দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে শহীদ ইসলাম পাপুল, সেলিনা ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ১৪৮ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

এর আগে এ মামলায় পাপুলের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এবার তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে নতুন তথ্য উঠে আসায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি।

ডিবি আরও জানায়, সেলিনা ইসলামকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। মামলার অন্যান্য আসামিদের বিষয়েও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে এক সময় সক্রিয় থাকলেও কুয়েতে মানবপাচারের ঘটনায় পাপুলের সাজা হওয়ার পর থেকে সেলিনা ইসলাম রাজনীতিতে অনেকটাই নীরব ছিলেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিললে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের আলোচনার ঝড় উঠেছে। আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

অর্থ ও মানবপাচার মামলায় সাবেক এমপি সেলিনা ইসলাম গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ১১:৪৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

 

অর্থ ও মানবপাচারের মামলায় কুয়েতে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ মে) ঢাকার মগবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে জানান, সেলিনা ইসলাম বর্তমানে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪৯ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

জানা যায়, তার স্বামী কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল কুয়েতে মানবপাচার, ঘুষ ও অর্থপাচারের মামলায় গ্রেপ্তার ও পরে সাজাপ্রাপ্ত হন। সেই সূত্র ধরেই সেলিনা ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০২০ সালের ১১ নভেম্বর, দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে শহীদ ইসলাম পাপুল, সেলিনা ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ১৪৮ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

এর আগে এ মামলায় পাপুলের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এবার তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে নতুন তথ্য উঠে আসায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি।

ডিবি আরও জানায়, সেলিনা ইসলামকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। মামলার অন্যান্য আসামিদের বিষয়েও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে এক সময় সক্রিয় থাকলেও কুয়েতে মানবপাচারের ঘটনায় পাপুলের সাজা হওয়ার পর থেকে সেলিনা ইসলাম রাজনীতিতে অনেকটাই নীরব ছিলেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিললে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের আলোচনার ঝড় উঠেছে। আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।