রোমানিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জ সিমিওনের জয়, ইউক্রেন সহায়তায় অনিশ্চয়তা

- আপডেট সময় ০৩:৩৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
- / 22
রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় কট্টর ডানপন্থী ও জাতীয়তাবাদী দল অ্যালায়েন্স ফর দ্য ইউনিয়ন অব রোমানিয়ানস (AUR)-এর প্রার্থী জর্জ সিমিওন নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪০ দশমিক ৯৬ শতাংশ ভোট, যা তাকে ১৮ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে স্পষ্টভাবে এগিয়ে রেখেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি সংশয়ী এবং ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিরোধী সিমিওন, এই জয়ের মাধ্যমে রোমানিয়ার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন বুখারেস্টের উদারপন্থী মেয়র নিকুশোর দান, যিনি পেয়েছেন ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থী ক্রিন আন্তোনেস্কু, যিনি পেয়েছেন ২০ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট।
ভোটগ্রহণের পরদিন, রবিবার (৪ মে) এক প্রতিক্রিয়ায় সিমিওন বলেন, ‘এই জয় কোনো ব্যক্তিগত বিজয় নয়, বরং সেইসব রোমানিয়ান নাগরিকদের প্রতিফলন, যারা বছরের পর বছর অবহেলিত হয়ে এসেও নিজেদের পরিচয় ও অধিকার রক্ষা করতে চায়।’ তিনি এটিকে ‘সাহস, আস্থা ও সংহতির জয়’ বলে উল্লেখ করেন।
জয়ের পর সিমিওন জানান, তিনি ন্যাটোকে সমর্থন করলেও ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বন্ধের পক্ষে। উল্লেখযোগ্য যে, তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন অনুরাগী।
সিমিওনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর পোন্টা-র ‘রোমানিয়া ফার্স্ট’ ঘরানার অনুসারীরা। এছাড়া, গত নির্বাচনে জয়ী কালিন জর্জেস্কুর সমর্থকরাও এবার তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে ২০২৪ সালের ওই নির্বাচনের ফল জালিয়াতি ও রাশিয়ান হস্তক্ষেপের অভিযোগে বাতিল হয়ে যায় এবং জর্জেস্কুকে নতুন নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ফেব্রুয়ারিতে রোমানিয়া সরকারের কড়া সমালোচনা করেন।
রোমানিয়ায় বর্তমানে ন্যাটোর তিনটি বিমানঘাঁটি এবং একটি মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনের ৭০ শতাংশ শস্য রপ্তানি হয় রোমানিয়ার জলসীমা হয়ে। দেশটির নৌ ও বিমান বাহিনী ইউক্রেনীয়দের মাইন অপসারণ ও F-16 পরিচালনায় প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
তবে সিমিওনের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এসব সহযোগিতা বন্ধ হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা, যা ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।