ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা পরিবেশই নয়, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যও টিকিয়ে রাখতে বন নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি: রিজওয়ানা জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন

বৈধ কাগজপত্র থাকলেও সৌদি থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশি প্রবাসীদের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 34

ছবি সংগৃহীত

 

সৌদি আরবে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সৌদি থেকে দেশে ফেরত আসা শতাধিক বাংলাদেশি অভিযোগ করেছেন, কোনো অপরাধ না করেও তারা হয়রানির শিকার হয়েছেন এবং জোরপূর্বক দেশে পাঠানো হয়েছে।

ফেরত আসা বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, গত ১২ এপ্রিল ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ছবি অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর থেকেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের সন্দেহের চোখে দেখা শুরু করে সৌদি প্রশাসন। তাদের অভিযোগ, শুধু বাঙালি পরিচয়ের ভিত্তিতেই অনেককে আটক করা হয়েছে।

সোমবার মধ্যরাতে সৌদি আরব থেকে আসা একটি ফ্লাইটে দেশে পৌঁছান শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই তারা সাংবাদিকদের কাছে তাদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন। অনেকেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, কাগজপত্র হালনাগাদ থাকার পরেও তাদের গ্রেফতার করে ক্যাম্পে রাখা হয় এবং পরে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

একজন ভুক্তভোগী বলেন, “আমি ৮ বছর ধরে বৈধভাবে কাজ করছি। আকামা, পাসপোর্ট, সবকিছু ঠিক আছে। তবুও আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই আটক করা হয়। শেষ পর্যন্ত জোর করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

অন্য একজন জানান, “আমরা কোনো বিক্ষোভে অংশ নেইনি। এমনকি সেই দিন আমরা কর্মস্থলেই ছিলাম। তবুও আমাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।”

ভুক্তভোগীদের দাবি, সম্প্রতি সৌদি সরকারের অভ্যন্তরীণ নীতিতে কড়াকড়ি আরোপের ফলে বিশেষভাবে বাংলাদেশিদের টার্গেট করা হচ্ছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

ফেরত আসা প্রবাসীরা সরকারের কাছে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা চান, সৌদি সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা করে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করা হয়।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রবাসীদের এমন অবস্থায় ফেলা সত্যিই দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের হয়রানি মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বৈধ কাগজপত্র থাকলেও সৌদি থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশি প্রবাসীদের

আপডেট সময় ১১:৪৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

 

সৌদি আরবে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সৌদি থেকে দেশে ফেরত আসা শতাধিক বাংলাদেশি অভিযোগ করেছেন, কোনো অপরাধ না করেও তারা হয়রানির শিকার হয়েছেন এবং জোরপূর্বক দেশে পাঠানো হয়েছে।

ফেরত আসা বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, গত ১২ এপ্রিল ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ছবি অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর থেকেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের সন্দেহের চোখে দেখা শুরু করে সৌদি প্রশাসন। তাদের অভিযোগ, শুধু বাঙালি পরিচয়ের ভিত্তিতেই অনেককে আটক করা হয়েছে।

সোমবার মধ্যরাতে সৌদি আরব থেকে আসা একটি ফ্লাইটে দেশে পৌঁছান শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই তারা সাংবাদিকদের কাছে তাদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন। অনেকেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, কাগজপত্র হালনাগাদ থাকার পরেও তাদের গ্রেফতার করে ক্যাম্পে রাখা হয় এবং পরে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

একজন ভুক্তভোগী বলেন, “আমি ৮ বছর ধরে বৈধভাবে কাজ করছি। আকামা, পাসপোর্ট, সবকিছু ঠিক আছে। তবুও আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই আটক করা হয়। শেষ পর্যন্ত জোর করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

অন্য একজন জানান, “আমরা কোনো বিক্ষোভে অংশ নেইনি। এমনকি সেই দিন আমরা কর্মস্থলেই ছিলাম। তবুও আমাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।”

ভুক্তভোগীদের দাবি, সম্প্রতি সৌদি সরকারের অভ্যন্তরীণ নীতিতে কড়াকড়ি আরোপের ফলে বিশেষভাবে বাংলাদেশিদের টার্গেট করা হচ্ছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

ফেরত আসা প্রবাসীরা সরকারের কাছে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা চান, সৌদি সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা করে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করা হয়।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রবাসীদের এমন অবস্থায় ফেলা সত্যিই দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের হয়রানি মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।