ঢাকা ০৫:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পেশাদারিত্ব ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে আধুনিক এসএসএফ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ভারত-কানাডা সম্পর্কে বরফ গলছে, ২ বছর পরে কূটনৈতিক সমঝোতা হোয়াইট হাউজে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে বৈঠকে ফোর্ডো স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা মশার উপদ্রব থেকে বাঁচার কিছু সহজ ও ঘরোয়া উপায় শেখ হাসিনার বিএনপি ভাঙার সব চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে: রুহুল কবির রিজভী ১৪তম দিনে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ অব্যাহত সেলিনা হায়াৎ আইভীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর, জামিন নামঞ্জুর ঢাবিতে নিরাপত্তা জোরদারে কড়া ব্যবস্থা, ডাকসু নির্বাচন ঘিরে বাড়তি নজরদারি সৈয়দপুরে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, নিহত ২ শ্রমিক জাতীয় ঐকমত্য আলোচনায় দ্বিতীয় দিনে জামায়াতের অংশগ্রহণ

গাজীপুরে বিস্ফোরণে দগ্ধ গার্মেন্টস কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার মোগরখাল এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ সীমা আক্তার (৩০) মারা গেছেন। তিনি গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ফিমেল এইচডিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী-শিশুসহ পাঁচজনকে আমাদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে সীমা নামে এক নারী আজ সকাল সোয়া ৯টায় এইচডিওতে মারা যান। তার শরীর ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এছাড়া পারভীনের শরীরের ৩২ শতাংশ, তানজিলার শরীরের ৯০ শতাংশ, তাসলিমার শরীরের ৯৫ শতাংশ এবং শিশু আয়ানের শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে এইচডিইউতে চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে তাসলিমা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

মৃত সীমার স্বামী মো. আলহাজ জানান, আমি এবং আমার স্ত্রী সীমা দুজনেই গার্মেন্টস কর্মী। গতকাল সন্ধ্যার দিকে পাশের বাড়িতে রান্নার কাজ চলছিল। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আমার স্ত্রী ও এক শিশুসহ পাঁচজন শরীরে দগ্ধ হন। প্রথমে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদের জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে আমার স্ত্রী এইচডিইউতে মারা যান।

উল্লেখ্য, রোববার (২৭ এপ্রিল) গাজীপুরের জয়দেবপুরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। দগ্ধরা হলেন— সীমা আক্তার (৩০), পারভিন আক্তার (৩৫) ও তার শিশু ছেলে আয়ান (১), তাসলিমা বেগম (৩০) ও তার মেয়ে তানজিলা বেগম (১০)।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজীপুরে বিস্ফোরণে দগ্ধ গার্মেন্টস কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু

আপডেট সময় ০১:২৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

 

গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার মোগরখাল এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ সীমা আক্তার (৩০) মারা গেছেন। তিনি গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ফিমেল এইচডিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী-শিশুসহ পাঁচজনকে আমাদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে সীমা নামে এক নারী আজ সকাল সোয়া ৯টায় এইচডিওতে মারা যান। তার শরীর ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এছাড়া পারভীনের শরীরের ৩২ শতাংশ, তানজিলার শরীরের ৯০ শতাংশ, তাসলিমার শরীরের ৯৫ শতাংশ এবং শিশু আয়ানের শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে এইচডিইউতে চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে তাসলিমা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

মৃত সীমার স্বামী মো. আলহাজ জানান, আমি এবং আমার স্ত্রী সীমা দুজনেই গার্মেন্টস কর্মী। গতকাল সন্ধ্যার দিকে পাশের বাড়িতে রান্নার কাজ চলছিল। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আমার স্ত্রী ও এক শিশুসহ পাঁচজন শরীরে দগ্ধ হন। প্রথমে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদের জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে আমার স্ত্রী এইচডিইউতে মারা যান।

উল্লেখ্য, রোববার (২৭ এপ্রিল) গাজীপুরের জয়দেবপুরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। দগ্ধরা হলেন— সীমা আক্তার (৩০), পারভিন আক্তার (৩৫) ও তার শিশু ছেলে আয়ান (১), তাসলিমা বেগম (৩০) ও তার মেয়ে তানজিলা বেগম (১০)।