ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি, নিহত ৫২, আহত বহু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৭:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 31

ছবি সংগৃহীত

 

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। শনিবার দিনভর বোমাবর্ষণে আরও অন্তত ৫২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বহু মানুষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাজার দক্ষিণ, মধ্য ও উত্তর—তিন অঞ্চলেই ইসরায়েলি বাহিনী সমানভাবে হামলা চালিয়েছে। শনিবারের আক্রমণ ছিল ভয়াবহ। গাজা শহর ও উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে প্রচুর হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে শুক্রবার রাতে চালানো একযোগে বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ছিল ৬২ জন। নিহতদের বেশিরভাগই ছিলেন গাজা সিটির ও উত্তর গাজার বাসিন্দা।

অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির নতুন কোনো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। হামাস ইসরায়েলের দেওয়া সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। একইসাথে সংগঠনটি বন্দি বিনিময়ের শর্তে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের অবসান চেয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, “গাজায় আমাদের সামরিক অভিযান চলবে, যতক্ষণ না আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।”

বর্তমানে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার আশপাশে ঘাঁটি স্থাপন করেছে। শাবৌর ও তেল আস সুলতান এলাকার ঘাঁটি থেকে সর্বশেষ বিমান হামলাগুলো চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে ওই এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষ তীব্র নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে।

গাজায় প্রতিদিনই বাড়ছে লাশের সারি। বোমার আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বহু বাড়িঘর। খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও চিকিৎসাসেবা সংকটে জনজীবন চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। অনেকেই আহতদের নিয়ে হাসপাতালে গেলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা মিলছে না ওষুধ ও যন্ত্রপাতির অভাবে।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো গাজায় চলমান সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বাস্তব পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। বরং প্রতিদিনই নতুন করে রক্তাক্ত হচ্ছে উপত্যকাটি।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে আসছে বহু দেশ ও সংস্থা। তবে ইসরায়েল ও হামাসের অবস্থান অনড় থাকায় সেই সম্ভাবনা দিন দিন ক্ষীণ হয়ে উঠছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি, নিহত ৫২, আহত বহু

আপডেট সময় ০১:০৭:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

 

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। শনিবার দিনভর বোমাবর্ষণে আরও অন্তত ৫২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বহু মানুষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাজার দক্ষিণ, মধ্য ও উত্তর—তিন অঞ্চলেই ইসরায়েলি বাহিনী সমানভাবে হামলা চালিয়েছে। শনিবারের আক্রমণ ছিল ভয়াবহ। গাজা শহর ও উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে প্রচুর হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে শুক্রবার রাতে চালানো একযোগে বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ছিল ৬২ জন। নিহতদের বেশিরভাগই ছিলেন গাজা সিটির ও উত্তর গাজার বাসিন্দা।

অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির নতুন কোনো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। হামাস ইসরায়েলের দেওয়া সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। একইসাথে সংগঠনটি বন্দি বিনিময়ের শর্তে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের অবসান চেয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, “গাজায় আমাদের সামরিক অভিযান চলবে, যতক্ষণ না আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।”

বর্তমানে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার আশপাশে ঘাঁটি স্থাপন করেছে। শাবৌর ও তেল আস সুলতান এলাকার ঘাঁটি থেকে সর্বশেষ বিমান হামলাগুলো চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে ওই এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষ তীব্র নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে।

গাজায় প্রতিদিনই বাড়ছে লাশের সারি। বোমার আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বহু বাড়িঘর। খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও চিকিৎসাসেবা সংকটে জনজীবন চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। অনেকেই আহতদের নিয়ে হাসপাতালে গেলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা মিলছে না ওষুধ ও যন্ত্রপাতির অভাবে।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো গাজায় চলমান সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বাস্তব পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। বরং প্রতিদিনই নতুন করে রক্তাক্ত হচ্ছে উপত্যকাটি।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে আসছে বহু দেশ ও সংস্থা। তবে ইসরায়েল ও হামাসের অবস্থান অনড় থাকায় সেই সম্ভাবনা দিন দিন ক্ষীণ হয়ে উঠছে।