ঢাকা ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

১৫ বছর পর আজ ঢাকায় বাংলাদেশ–পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 16

ছবি সংগৃহীত

  

প্রায় ১৫ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা।

বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন ঢাকায় সফররত দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। 

বুধবার সন্ধ্যায় আমনা বালুচ ঢাকায় পৌঁছান। আজকের বৈঠক শেষে তার জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন রয়েছে। এরপর তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একইদিনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। রাতে বারিধারায় আয়োজিত এক নৈশভোজে তাকে সম্মাননা জানানো হবে।

দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন আবহ তৈরি হওয়ায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরায় সক্রিয় করতে উদ্যোগী হয়েছে পাকিস্তান। ঢাকার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বাণিজ্যিক, প্রযুক্তিগত, কূটনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করাই ইসলামাবাদের অন্যতম লক্ষ্য।

বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ এবং সংযুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে এখনো কিছু অমীমাংসিত ইস্যু রয়ে গেছে। বিশেষ করে ইতিহাস, যুদ্ধাপরাধ, জনমানসের মনোভাব এবং আস্থার ঘাটতি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ককে ভারাক্রান্ত করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ গড়ে তোলা, ইতিহাসের প্রেক্ষাপট নতুনভাবে মূল্যায়ন করা এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে সম্পর্ক উন্নয়নের দিকেই গুরুত্ব দিতে হবে উভয় পক্ষকে।

বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই বাংলাদেশের জন্য এটি একটি কৌশলগত সময়, যেখানে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ ও বাস্তবভিত্তিক কূটনীতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এই প্রেক্ষাপটে আজকের বৈঠককে বিশ্লেষকরা একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ সূচনা’ হিসেবে দেখছেন, যা হয়তো ভবিষ্যতের ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কের নতুন পথচলার ভিত্তি তৈরি করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

১৫ বছর পর আজ ঢাকায় বাংলাদেশ–পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক

আপডেট সময় ১০:২৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

  

প্রায় ১৫ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা।

বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন ঢাকায় সফররত দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। 

বুধবার সন্ধ্যায় আমনা বালুচ ঢাকায় পৌঁছান। আজকের বৈঠক শেষে তার জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন রয়েছে। এরপর তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একইদিনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। রাতে বারিধারায় আয়োজিত এক নৈশভোজে তাকে সম্মাননা জানানো হবে।

দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন আবহ তৈরি হওয়ায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরায় সক্রিয় করতে উদ্যোগী হয়েছে পাকিস্তান। ঢাকার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বাণিজ্যিক, প্রযুক্তিগত, কূটনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করাই ইসলামাবাদের অন্যতম লক্ষ্য।

বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ এবং সংযুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে এখনো কিছু অমীমাংসিত ইস্যু রয়ে গেছে। বিশেষ করে ইতিহাস, যুদ্ধাপরাধ, জনমানসের মনোভাব এবং আস্থার ঘাটতি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ককে ভারাক্রান্ত করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ গড়ে তোলা, ইতিহাসের প্রেক্ষাপট নতুনভাবে মূল্যায়ন করা এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে সম্পর্ক উন্নয়নের দিকেই গুরুত্ব দিতে হবে উভয় পক্ষকে।

বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই বাংলাদেশের জন্য এটি একটি কৌশলগত সময়, যেখানে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ ও বাস্তবভিত্তিক কূটনীতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এই প্রেক্ষাপটে আজকের বৈঠককে বিশ্লেষকরা একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ সূচনা’ হিসেবে দেখছেন, যা হয়তো ভবিষ্যতের ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কের নতুন পথচলার ভিত্তি তৈরি করবে।