সামরিক প্রস্তুতি বাড়লেও যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে রয়েছে: হোয়াইট হাউজ

- আপডেট সময় ১১:১৫:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
- / 3
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। সোমবার সন্ধ্যায় দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বাড়তি সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হলেও এখনো আক্রমণাত্মক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হঠাৎ করে টেহরান খালি করার বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র কি ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে? তার এই বার্তা ছিল অল্প কথায়, তবে এতে কোনো বিস্তারিত ব্যাখ্যা না থাকায় ব্যাপক জল্পনার জন্ম দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের আচমকা এমন বার্তা এবং চলমান জি৭ সম্মেলন ছেড়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই ওয়াশিংটনে ফেরার সিদ্ধান্ত এই সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। যদিও হোয়াইট হাউজ এবং পেন্টাগন বরাবরই বলে আসছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী এখনো কেবল প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকায় রয়েছে।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র অ্যালেক্স ফাইফার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাচ্ছে” এই দাবি সত্য নয়। তিনি আরও বলেন, “আমেরিকান বাহিনী তাদের প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানেই রয়েছে এবং এই নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।”
পেন্টাগনের প্রধান পিট হেগসেথ ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, “আমরা মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান বজায় রেখেছি এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকেই এগোচ্ছি।”
তবে এর আগে হেগসেথ জানান, সপ্তাহান্তে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত সামরিক শক্তি মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেন, “আমাদের বাহিনীর নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, এবং এই মোতায়েন প্রতিরক্ষা আরো জোরদার করবে।”
এরই মধ্যে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিটজ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ত্যাগ করে মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। পাশাপাশি, আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিচ্ছে একাধিক সামরিক বিমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, ইউএসএস নিমিটজ ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান ধরে রাখা ও মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিশ্বের অন্যতম বড় যুদ্ধজাহাজের এই অগ্রগতি এমন সময় ঘটছে, যখন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে টানা চতুর্থ দিনের বিমান হামলা চলছে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। বরং, উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়া হচ্ছে বিশ্বব্যাপী।
সূত্র: আলআরাবিয়া