ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের

কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানির ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • / 42

ছবি সংগৃহীত

 

কানাডা ঘোষণা করেছে যে তারা প্রায় ৩০ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার মূল্যের আমেরিকান আমদানির ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে। বুধবার থেকে কার্যকর হওয়া মার্কিন শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দ্য গার্ডিয়ান সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কানাডিয়ান সরকার জানিয়েছে যে তারা ‘ডলার-বাই-ডলার’ পদ্ধতিতে শুল্ক আরোপ করবে এবং এই শুল্কের হার হবে ২৫%।

স্থানীয় সময় বুধবার সকালে, কানাডা একগুচ্ছ প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে, যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে। কানাডা এই শুল্কের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যকে লক্ষ্যবস্তু করতে যাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার, ক্রীড়া সরঞ্জাম, ঢালাই লোহা এবং অন্যান্য পণ্য।

কানাডার জ্বালানিমন্ত্রী জোনাথন উইলকিনসন এই ঘোষণায় জানিয়েছেন, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার তেল রপ্তানি সীমিত করার জন্য অশুল্ক ব্যবস্থা আরোপ করার চিন্তা করছে। এছাড়া, খনিজ পদার্থের ওপরও রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে, বিশেষত ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর নতুন শুল্কের পরিপ্রেক্ষিতে। কানাডার সরকার আশা করছে যে, এই শুল্কের মাধ্যমে তারা মার্কিন শুল্কের চাপের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলবে, যা বৃহত্তর অর্থনৈতিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবুও, কানাডা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে এবং মার্কিন সিদ্ধান্তের প্রতি যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানাবে।

কানাডার এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে, যা দুই দেশের মধ্যে একাধিক বাণিজ্যিক বিষয়ে আরো জটিলতা সৃষ্টি করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানির ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে

আপডেট সময় ০৪:৫১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

 

কানাডা ঘোষণা করেছে যে তারা প্রায় ৩০ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার মূল্যের আমেরিকান আমদানির ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে। বুধবার থেকে কার্যকর হওয়া মার্কিন শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দ্য গার্ডিয়ান সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কানাডিয়ান সরকার জানিয়েছে যে তারা ‘ডলার-বাই-ডলার’ পদ্ধতিতে শুল্ক আরোপ করবে এবং এই শুল্কের হার হবে ২৫%।

স্থানীয় সময় বুধবার সকালে, কানাডা একগুচ্ছ প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে, যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে। কানাডা এই শুল্কের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যকে লক্ষ্যবস্তু করতে যাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার, ক্রীড়া সরঞ্জাম, ঢালাই লোহা এবং অন্যান্য পণ্য।

কানাডার জ্বালানিমন্ত্রী জোনাথন উইলকিনসন এই ঘোষণায় জানিয়েছেন, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার তেল রপ্তানি সীমিত করার জন্য অশুল্ক ব্যবস্থা আরোপ করার চিন্তা করছে। এছাড়া, খনিজ পদার্থের ওপরও রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে, বিশেষত ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর নতুন শুল্কের পরিপ্রেক্ষিতে। কানাডার সরকার আশা করছে যে, এই শুল্কের মাধ্যমে তারা মার্কিন শুল্কের চাপের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলবে, যা বৃহত্তর অর্থনৈতিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবুও, কানাডা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে এবং মার্কিন সিদ্ধান্তের প্রতি যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানাবে।

কানাডার এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে, যা দুই দেশের মধ্যে একাধিক বাণিজ্যিক বিষয়ে আরো জটিলতা সৃষ্টি করবে।