ঢাকা ১১:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের

শরীরে এই ৫ লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক থাকুন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 41

ছবি: সংগৃহীত

 

অনেকেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হন, যা শুরুতে ছোট মনে হলেও সময়ের সাথে জটিল রূপ নিতে পারে। তবে যদি প্রাথমিক লক্ষণগুলো গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে অনেক গুরুতর অসুখ এড়ানো সম্ভব।

শরীরে প্রয়োজনীয় কোনো উপাদানের অভাব হলে, তা বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে জানান দেয়। এসব সূক্ষ্ম লক্ষণ উপেক্ষা করলে ভবিষ্যতে বড় সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। সাধারণত, পুষ্টির ঘাটতি বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক লক্ষণ প্রকাশ পায়। এসব সংকেতই শরীরের চাহিদার ইঙ্গিত দেয়, যা সময়মতো পূরণ না করলে ক্লান্তি, ত্বকের সমস্যা এবং অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে।

চলুন দেখে নেয়া যাক, সতর্ক থাকার ৫টি লক্ষণঃ

নখ ভঙ্গুর হলে প্রোটিন ও আয়রনের অভাব: অনেক সময় নখ ভঙ্গুর বা সহজেই ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়, যা সাধারণত প্রোটিন বা আয়রনের অভাবের কারণে হয়ে থাকে। প্রোটিন, বিশেষ করে কেরাটিন, নখের মূল কাঠামোতে সহায়তা করে এবং খাদ্যের অভাবে নখ দুর্বল হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে, যা শরীরে অক্সিজেন পরিবহন করে। আয়রনের অভাব হলে নখে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, ফলে নখ ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।

চোখের পাতা ও শরীর কাঁপলে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব: যদি চোখের পাতা বা শরীরের অন্য অংশে মাঝেমধ্যে ঝাঁকুনি বা কাঁপুনি অনুভূত হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি রয়েছে। এটি পেশী সংকোচন, স্নায়ু সংকেত পাঠানো এবং ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স বজায় রাখতে সহায়ক। ম্যাগনেশিয়ামের অভাবে স্নায়ু কোষ অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে পড়ে, যার ফলে শরীর কাঁপতে থাকে বা পেশীতে খিঁচুনি দেখা দেয়।

জয়েন্টে কড়কড় শব্দ হলে ভিটামিন ডি৩ ও ক্যালসিয়ামের অভাব: যদি শরীরের জয়েন্টগুলোতে কড়কড় বা ফাটার শব্দ হয়, তবে এটি ভিটামিন ডি৩ ও ক্যালসিয়ামের অভাবের লক্ষণ হতে পারে। ক্যালসিয়াম হাড়ের শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ভিটামিন ডি৩ এর মাধ্যমে এটি শোষিত হয়। এই দুটি উপাদানের অভাবে জয়েন্টগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে, যার ফলে নড়াচড়ার সময় কড়কড় শব্দ হতে পারে।

অকালে চুল পেকে গেলে ভিটামিন বি১২ ও কপারের অভাব: অনেকেরই অভিযোগ থাকে অকালে চুল পেকে যাওয়ার। এই সমস্যা সাধারণত ভিটামিন বি১২ এবং কপারের অভাবে হয়। ভিটামিন বি১২ চুলের রঙের জন্য প্রয়োজনীয় মেলানিন উৎপাদনে সাহায্য করে, আর কপারও মেলানিন তৈরিতে সহায়ক। এই উপাদানগুলোর অভাবে চুল দ্রুত সাদা হয়ে যেতে পারে।

ঘা হলে ভিটামিন সি ও কে১-এর অভাব: যদি শরীরে কোনও কারণে ঘা হতে থাকে, তবে এটি ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে১ এর অভাবের লক্ষণ হতে পারে। ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে, যা রক্তনালীকে শক্তিশালী করে। ভিটামিন কে১ রক্ত জমাট বাঁধায় সহায়তা করে। এই দুটি উপাদানের অভাবে শরীরে অতিরিক্ত রক্তপাত বা ঘা হতে পারে।

এই সব শারীরিক লক্ষণগুলো প্রমাণ করে যে আমাদের দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব রয়েছে, যা নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। প্রোটিন, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ডি৩, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি১২, কপার, ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে১ আমাদের শরীরের সঠিক কার্যক্রম বজায় রাখতে অপরিহার্য। সঠিক পুষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে এসব অভাব পূরণ করা সম্ভব, যা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ এবং সুস্থতা নিশ্চিত করতে সহায়ক। তাই, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা ও প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের সম্পূরক গ্রহণ করার মাধ্যমে এসব সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

নিউজটি শেয়ার করুন

শরীরে এই ৫ লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক থাকুন

আপডেট সময় ০৭:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

অনেকেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হন, যা শুরুতে ছোট মনে হলেও সময়ের সাথে জটিল রূপ নিতে পারে। তবে যদি প্রাথমিক লক্ষণগুলো গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে অনেক গুরুতর অসুখ এড়ানো সম্ভব।

শরীরে প্রয়োজনীয় কোনো উপাদানের অভাব হলে, তা বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে জানান দেয়। এসব সূক্ষ্ম লক্ষণ উপেক্ষা করলে ভবিষ্যতে বড় সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। সাধারণত, পুষ্টির ঘাটতি বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক লক্ষণ প্রকাশ পায়। এসব সংকেতই শরীরের চাহিদার ইঙ্গিত দেয়, যা সময়মতো পূরণ না করলে ক্লান্তি, ত্বকের সমস্যা এবং অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে।

চলুন দেখে নেয়া যাক, সতর্ক থাকার ৫টি লক্ষণঃ

নখ ভঙ্গুর হলে প্রোটিন ও আয়রনের অভাব: অনেক সময় নখ ভঙ্গুর বা সহজেই ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়, যা সাধারণত প্রোটিন বা আয়রনের অভাবের কারণে হয়ে থাকে। প্রোটিন, বিশেষ করে কেরাটিন, নখের মূল কাঠামোতে সহায়তা করে এবং খাদ্যের অভাবে নখ দুর্বল হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে, যা শরীরে অক্সিজেন পরিবহন করে। আয়রনের অভাব হলে নখে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, ফলে নখ ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।

চোখের পাতা ও শরীর কাঁপলে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব: যদি চোখের পাতা বা শরীরের অন্য অংশে মাঝেমধ্যে ঝাঁকুনি বা কাঁপুনি অনুভূত হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি রয়েছে। এটি পেশী সংকোচন, স্নায়ু সংকেত পাঠানো এবং ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স বজায় রাখতে সহায়ক। ম্যাগনেশিয়ামের অভাবে স্নায়ু কোষ অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে পড়ে, যার ফলে শরীর কাঁপতে থাকে বা পেশীতে খিঁচুনি দেখা দেয়।

জয়েন্টে কড়কড় শব্দ হলে ভিটামিন ডি৩ ও ক্যালসিয়ামের অভাব: যদি শরীরের জয়েন্টগুলোতে কড়কড় বা ফাটার শব্দ হয়, তবে এটি ভিটামিন ডি৩ ও ক্যালসিয়ামের অভাবের লক্ষণ হতে পারে। ক্যালসিয়াম হাড়ের শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ভিটামিন ডি৩ এর মাধ্যমে এটি শোষিত হয়। এই দুটি উপাদানের অভাবে জয়েন্টগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে, যার ফলে নড়াচড়ার সময় কড়কড় শব্দ হতে পারে।

অকালে চুল পেকে গেলে ভিটামিন বি১২ ও কপারের অভাব: অনেকেরই অভিযোগ থাকে অকালে চুল পেকে যাওয়ার। এই সমস্যা সাধারণত ভিটামিন বি১২ এবং কপারের অভাবে হয়। ভিটামিন বি১২ চুলের রঙের জন্য প্রয়োজনীয় মেলানিন উৎপাদনে সাহায্য করে, আর কপারও মেলানিন তৈরিতে সহায়ক। এই উপাদানগুলোর অভাবে চুল দ্রুত সাদা হয়ে যেতে পারে।

ঘা হলে ভিটামিন সি ও কে১-এর অভাব: যদি শরীরে কোনও কারণে ঘা হতে থাকে, তবে এটি ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে১ এর অভাবের লক্ষণ হতে পারে। ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে, যা রক্তনালীকে শক্তিশালী করে। ভিটামিন কে১ রক্ত জমাট বাঁধায় সহায়তা করে। এই দুটি উপাদানের অভাবে শরীরে অতিরিক্ত রক্তপাত বা ঘা হতে পারে।

এই সব শারীরিক লক্ষণগুলো প্রমাণ করে যে আমাদের দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব রয়েছে, যা নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। প্রোটিন, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ডি৩, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি১২, কপার, ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে১ আমাদের শরীরের সঠিক কার্যক্রম বজায় রাখতে অপরিহার্য। সঠিক পুষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে এসব অভাব পূরণ করা সম্ভব, যা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ এবং সুস্থতা নিশ্চিত করতে সহায়ক। তাই, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা ও প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের সম্পূরক গ্রহণ করার মাধ্যমে এসব সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া