০৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেপাল বিক্ষোভে আজও উত্তাল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৮:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 29

ছবি সংগৃহীত

 

নেপালে দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তরুণদের আন্দোলন রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায়। সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৯ জন, আর দেশজুড়ে একাধিক এলাকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।

নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবারেও (৯ সেপ্টেম্বর) রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন নেপালের তরুণরা। সকাল থেকেই দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের সামনে তরুণরা জড়ো হচ্ছেন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর নতুন বানেশ্বরে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে তরুণরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। তাদের হাতে কোনো ব্যানার বা প্ল্যাকার্ড নেই। সেখানে এক অংশগ্রহণকারী বলেন, “গতকালের ঘটনাই সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে। তাই আমি তরুণদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি।”

এর আগে সোমবার দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ‘জেনারেশন জি’-এর বিক্ষোভে ১৯ জন নিহত হন। এ ঘটনায় সরকার যে দমননীতি অনুসরণ করেছে, তার তীব্র সমালোচনা করেছে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলীয় নেতারা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন রিং রোড ঘিরে কাঠমান্ডুর বড় অংশে সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে। পাশাপাশি ললিতপুর জেলাতেও আলাদা কারফিউ জারি হয়েছে।

কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তরুণদের আন্দোলন রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার দেশজুড়ে একাধিক শহরে তরুণরা বিক্ষোভে অংশ নেন।

বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে দামাক, বীরাটমোড়, ইটাহারি, বীরাটনগর, জনকপুর, ভরতপুর, পোখারা, বীরগঞ্জ, বুটওয়াল, ভৈরহাওয়া, তুলসিপুর ও ধানগড়িসহ বিভিন্ন শহরে। অনেক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে।

এর মধ্যে সুনসারির ইটাহারি সাব-মহানগর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে দুইজন নিহত ও একজন আহত হন। বিক্ষোভকারীরা কার্যালয়ের মূল ফটক, মেয়রের দপ্তর ও দুটি বাড়ি ভাঙচুর করে। ঘটনার পর দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে ইটাহারির মূল এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়।

এছাড়া ঝাপার বীরাটমোড় ও দামাকে সংঘর্ষে এক ডজনের বেশি মানুষ আহত হন। বিক্ষোভকারীরা বীরাটমোড় পুলিশ পোস্টে আগুন ধরিয়ে দেন এবং দামাকে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এসময় পুলিশ গুলি ছুড়ে সতর্ক করে। পরে রাত সাড়ে ৮টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়।

পোখারায় কাস্কি জেলা প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে। দুপুর ২টা থেকে কার্যকর এই আদেশে শহরের প্রশাসনিক কেন্দ্রীয় এলাকায় পাঁচজনের বেশি জড়ো হওয়া, মিছিল বা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। পরিস্থিতি সহিংস হলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও পানিকামান ব্যবহার করে। সংঘর্ষে দুই বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হন।

নেপালি সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় মূলত কলেজ শেষে তরুণরা রাস্তায় নামলেও পরে অন্য শ্রেণির মানুষও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এতে আন্দোলন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

নেপাল বিক্ষোভে আজও উত্তাল

আপডেট সময় ০১:৪৮:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

নেপালে দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তরুণদের আন্দোলন রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায়। সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৯ জন, আর দেশজুড়ে একাধিক এলাকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।

নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবারেও (৯ সেপ্টেম্বর) রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন নেপালের তরুণরা। সকাল থেকেই দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের সামনে তরুণরা জড়ো হচ্ছেন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর নতুন বানেশ্বরে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে তরুণরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। তাদের হাতে কোনো ব্যানার বা প্ল্যাকার্ড নেই। সেখানে এক অংশগ্রহণকারী বলেন, “গতকালের ঘটনাই সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে। তাই আমি তরুণদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি।”

এর আগে সোমবার দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ‘জেনারেশন জি’-এর বিক্ষোভে ১৯ জন নিহত হন। এ ঘটনায় সরকার যে দমননীতি অনুসরণ করেছে, তার তীব্র সমালোচনা করেছে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলীয় নেতারা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন রিং রোড ঘিরে কাঠমান্ডুর বড় অংশে সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে। পাশাপাশি ললিতপুর জেলাতেও আলাদা কারফিউ জারি হয়েছে।

কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তরুণদের আন্দোলন রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার দেশজুড়ে একাধিক শহরে তরুণরা বিক্ষোভে অংশ নেন।

বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে দামাক, বীরাটমোড়, ইটাহারি, বীরাটনগর, জনকপুর, ভরতপুর, পোখারা, বীরগঞ্জ, বুটওয়াল, ভৈরহাওয়া, তুলসিপুর ও ধানগড়িসহ বিভিন্ন শহরে। অনেক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে।

এর মধ্যে সুনসারির ইটাহারি সাব-মহানগর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে দুইজন নিহত ও একজন আহত হন। বিক্ষোভকারীরা কার্যালয়ের মূল ফটক, মেয়রের দপ্তর ও দুটি বাড়ি ভাঙচুর করে। ঘটনার পর দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে ইটাহারির মূল এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়।

এছাড়া ঝাপার বীরাটমোড় ও দামাকে সংঘর্ষে এক ডজনের বেশি মানুষ আহত হন। বিক্ষোভকারীরা বীরাটমোড় পুলিশ পোস্টে আগুন ধরিয়ে দেন এবং দামাকে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এসময় পুলিশ গুলি ছুড়ে সতর্ক করে। পরে রাত সাড়ে ৮টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়।

পোখারায় কাস্কি জেলা প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে। দুপুর ২টা থেকে কার্যকর এই আদেশে শহরের প্রশাসনিক কেন্দ্রীয় এলাকায় পাঁচজনের বেশি জড়ো হওয়া, মিছিল বা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। পরিস্থিতি সহিংস হলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও পানিকামান ব্যবহার করে। সংঘর্ষে দুই বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হন।

নেপালি সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় মূলত কলেজ শেষে তরুণরা রাস্তায় নামলেও পরে অন্য শ্রেণির মানুষও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এতে আন্দোলন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।