ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) রাজনৈতিক কর্মসূচি বা বক্তব্যের আগে দলকে হিসেব-নিকেশ করতে হবে: এ্যানি পুলিশের ১১০ কর্মকর্তাকে এসআই থেকে ইন্সপেক্টর পদে উত্তরণ পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জনের মৃত্যু, দুর্ভোগে লাখো মানুষ গোয়েন্দা তথ্য ছিল, কিন্তু এমন ব্যাপকতা ধারণা করা যায়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা” কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ী সৈয়দুর হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন রাশিয়া-ইউক্রেন পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলার তীব্রতা, দুই পক্ষেই হতাহত ভোটার তালিকা সংযোজনসহ তিনটি অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন অবৈধ ৬২ কোটি টাকার সম্পদের প্রমাণ মিলেছে তারিক সিদ্দিকের: দুদক চকরিয়ায় চুরি করতে গিয়ে পুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণ, আটক ১

দীর্ঘ এক দশক পর চালু হলো ইরাকের মসুল বিমানবন্দর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

প্রায় এক দশক পর ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়াল ইরাকের মসুল বিমানবন্দর। ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২০১৪ সালে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এই বিমানবন্দরটি অবশেষে পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের পর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হলো।

বুধবার (১৬ জুলাই) উত্তরাঞ্চলীয় শহর মসুলের এই বিমানবন্দরটির নবনির্মিত অবকাঠামোর উদ্বোধন করেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজের অবতরণ দিয়েই এর কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মসুল বিমানবন্দর এখন দেশের অন্যান্য শহর এবং আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যের সঙ্গে নতুন সংযোগ স্থাপন করবে। এটি উত্তর ইরাকের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে বিমানবন্দরটির পরিচালক আমার আল-বায়াতি জানিয়েছেন, বিমানবন্দরটি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে কাজ চলছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী দুই মাসের মধ্যেই এখান থেকে তুরস্ক ও জর্ডানের মতো আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট চালু করা যাবে।

উল্লেখ্য, প্রায় তিন বছর আগে ইরাকের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাজেমি এই বিমানবন্দর পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

২০১৪ সালের জুন মাসে আইএস সশস্ত্রভাবে মসুল শহর দখল করে নেয়। এই শহর থেকেই আইএস তাদের কথিত ‘খেলাফত’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। সেই সময় ভয়াবহ দখলদারিত্ব ও সংঘাতের কারণে মসুল শহরের অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়। লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হন, প্রাণ হারান বহু নিরীহ নাগরিক। মসুল বিমানবন্দরও তাদের হামলায় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পুনর্গঠনের এই উদ্যোগ শুধু একটি বিমানবন্দর নয়, বরং মসুল শহরের পুনর্জাগরণ ও স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইরাক সরকার আশা করছে, এই উন্নয়ন উত্তরাঞ্চলীয় ইরাকের অর্থনীতি, পর্যটন এবং জনজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দীর্ঘ এক দশক পর চালু হলো ইরাকের মসুল বিমানবন্দর

আপডেট সময় ০৪:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

 

প্রায় এক দশক পর ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়াল ইরাকের মসুল বিমানবন্দর। ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২০১৪ সালে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এই বিমানবন্দরটি অবশেষে পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের পর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হলো।

বুধবার (১৬ জুলাই) উত্তরাঞ্চলীয় শহর মসুলের এই বিমানবন্দরটির নবনির্মিত অবকাঠামোর উদ্বোধন করেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজের অবতরণ দিয়েই এর কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মসুল বিমানবন্দর এখন দেশের অন্যান্য শহর এবং আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যের সঙ্গে নতুন সংযোগ স্থাপন করবে। এটি উত্তর ইরাকের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে বিমানবন্দরটির পরিচালক আমার আল-বায়াতি জানিয়েছেন, বিমানবন্দরটি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে কাজ চলছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী দুই মাসের মধ্যেই এখান থেকে তুরস্ক ও জর্ডানের মতো আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট চালু করা যাবে।

উল্লেখ্য, প্রায় তিন বছর আগে ইরাকের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাজেমি এই বিমানবন্দর পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

২০১৪ সালের জুন মাসে আইএস সশস্ত্রভাবে মসুল শহর দখল করে নেয়। এই শহর থেকেই আইএস তাদের কথিত ‘খেলাফত’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। সেই সময় ভয়াবহ দখলদারিত্ব ও সংঘাতের কারণে মসুল শহরের অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়। লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হন, প্রাণ হারান বহু নিরীহ নাগরিক। মসুল বিমানবন্দরও তাদের হামলায় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পুনর্গঠনের এই উদ্যোগ শুধু একটি বিমানবন্দর নয়, বরং মসুল শহরের পুনর্জাগরণ ও স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইরাক সরকার আশা করছে, এই উন্নয়ন উত্তরাঞ্চলীয় ইরাকের অর্থনীতি, পর্যটন এবং জনজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।