ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা পরিবেশই নয়, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যও টিকিয়ে রাখতে বন নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি: রিজওয়ানা জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন

পিরোজপুরে ইউপি সদস্য ও ভাবীকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী গুরুতর আহত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে পারিবারিক পরকীয়া ও পূর্ব বিরোধের জেরে মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য এবং তার ভাবী মৌকলি বেগমকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেহানা বেগম (৪০) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শনিবার (২৮ জুন) রাত ১২টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের চরবলেশ্বর গ্রামে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত শহিদুল ইসলাম ওই গ্রামের আসলাম হাওলাদারের ছেলে এবং চন্ডিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নিহত মৌকলি বেগম ছিলেন শহিদুল ইসলামের ভাই মর্তুজা হাওলাদারের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১২টার দিকে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে হঠাৎ চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখতে পান শহিদুল ও তার ভাবী মৌকলি বেগমকে পুকুর পাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। ওই সময় দুর্বৃত্তরা শহিদুলের স্ত্রী রেহানা বেগমকেও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা গুরুতর আহত রেহানা বেগমকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

গুরুতর আহত রেহানা বেগম হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, পার্শ্ববর্তী ইউনুসসহ ৪-৫ জন হঠাৎ তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা প্রথমেই তার স্বামী শহিদুল ইসলাম ও ভাবী মৌকলি বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত ইউনুসের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ চলছিল।

এ বিষয়ে ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক পরকীয়া ও পূর্ব বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে এবং তদন্তের কাজ চলছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।”

এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং নিহতদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পিরোজপুরে ইউপি সদস্য ও ভাবীকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী গুরুতর আহত

আপডেট সময় ১২:৫৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 

পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে পারিবারিক পরকীয়া ও পূর্ব বিরোধের জেরে মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য এবং তার ভাবী মৌকলি বেগমকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেহানা বেগম (৪০) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শনিবার (২৮ জুন) রাত ১২টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের চরবলেশ্বর গ্রামে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত শহিদুল ইসলাম ওই গ্রামের আসলাম হাওলাদারের ছেলে এবং চন্ডিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নিহত মৌকলি বেগম ছিলেন শহিদুল ইসলামের ভাই মর্তুজা হাওলাদারের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১২টার দিকে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে হঠাৎ চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখতে পান শহিদুল ও তার ভাবী মৌকলি বেগমকে পুকুর পাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। ওই সময় দুর্বৃত্তরা শহিদুলের স্ত্রী রেহানা বেগমকেও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা গুরুতর আহত রেহানা বেগমকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

গুরুতর আহত রেহানা বেগম হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, পার্শ্ববর্তী ইউনুসসহ ৪-৫ জন হঠাৎ তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা প্রথমেই তার স্বামী শহিদুল ইসলাম ও ভাবী মৌকলি বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত ইউনুসের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ চলছিল।

এ বিষয়ে ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক পরকীয়া ও পূর্ব বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে এবং তদন্তের কাজ চলছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।”

এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং নিহতদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।