ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন চলছে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপিসহ ৩০ দলের অংশগ্রহণে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু কাল থেকে শুরু হজের আনুষ্ঠানিকতা প্রস্তুতি সৌদি আরবের ঈদে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা, পুলিশের ছুটি বাতিল: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে: র‍্যাব ‘ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিজম রয়ে গেছে: জামায়াত আমির বাজেটে কালো টাকায় বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধের আহ্বান সিপিডির সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আসছে সুখবর, বাড়ছে বিশেষ প্রণোদনা জাবালিয়ায় বিস্ফোরণে তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত, আহত দুই জাতীয় সনদে সর্বসম্মতি প্রস্তাবই অন্তর্ভুক্ত হবে: অধ্যাপক আলী রিয়াজ

শৃঙ্খলা ভঙ্গের ৪ অপরাধে চাকরিচ্যুতির বিধান রেখে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 14

ছবি সংগৃহীত

 

 

চারটি নির্দিষ্ট অপরাধে সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতির বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে এই অধ্যাদেশটি জারি করা হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে খসড়া অনুমোদনের পর থেকেই সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। তারা এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক’ ও ‘কালাকানুন’ আখ্যা দিয়ে দ্রুত তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। দাবি না মানা হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন, যা অন্য কর্মচারীদের মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে, শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য পালনে বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে।

এছাড়া ছুটি ছাড়া বা যৌক্তিক কারণ ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, অন্যদের অনুপস্থিত থাকতে উসকানি দেওয়া কিংবা কর্তব্যে বাধা দেওয়া, এসব কাজও একইভাবে অসদাচরণের আওতাভুক্ত হবে।

অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, এমন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে তিন ধরনের শাস্তি প্রদান করা যেতে পারে নিম্নপদে অবনমন, চাকরি থেকে অপসারণ অথবা চাকরি থেকে বরখাস্ত।

সংশোধিত আইন অনুযায়ী, এসব শাস্তি কার্যকর করতে কোনো দীর্ঘ তদন্ত বা শুনানির প্রক্রিয়াও প্রয়োজন হবে না এটি প্রশাসনিকভাবে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য হবে বলেও সূত্র জানিয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠনগুলোর দাবি, এই বিধান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য আন্দোলনের অধিকার হরণ করবে এবং ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করবে। তারা বলছেন, এই আইন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী এবং তা সংশোধন না হলে দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সরকারি শৃঙ্খলা ও সেবার মান বজায় রাখতেই এই সংশোধন জরুরি ছিল। তবে আন্দোলনকারীরা এখনও এ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ।

নতুন এই আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই সচিবালয়ে উত্তেজনা ও ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা চলছে যে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত সামনে আরও বড় পরিসরে প্রতিবাদের কারণ হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শৃঙ্খলা ভঙ্গের ৪ অপরাধে চাকরিচ্যুতির বিধান রেখে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন

আপডেট সময় ১১:০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

 

চারটি নির্দিষ্ট অপরাধে সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতির বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে এই অধ্যাদেশটি জারি করা হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে খসড়া অনুমোদনের পর থেকেই সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। তারা এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক’ ও ‘কালাকানুন’ আখ্যা দিয়ে দ্রুত তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। দাবি না মানা হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন, যা অন্য কর্মচারীদের মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে, শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য পালনে বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে।

এছাড়া ছুটি ছাড়া বা যৌক্তিক কারণ ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, অন্যদের অনুপস্থিত থাকতে উসকানি দেওয়া কিংবা কর্তব্যে বাধা দেওয়া, এসব কাজও একইভাবে অসদাচরণের আওতাভুক্ত হবে।

অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, এমন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে তিন ধরনের শাস্তি প্রদান করা যেতে পারে নিম্নপদে অবনমন, চাকরি থেকে অপসারণ অথবা চাকরি থেকে বরখাস্ত।

সংশোধিত আইন অনুযায়ী, এসব শাস্তি কার্যকর করতে কোনো দীর্ঘ তদন্ত বা শুনানির প্রক্রিয়াও প্রয়োজন হবে না এটি প্রশাসনিকভাবে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য হবে বলেও সূত্র জানিয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠনগুলোর দাবি, এই বিধান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য আন্দোলনের অধিকার হরণ করবে এবং ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করবে। তারা বলছেন, এই আইন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী এবং তা সংশোধন না হলে দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সরকারি শৃঙ্খলা ও সেবার মান বজায় রাখতেই এই সংশোধন জরুরি ছিল। তবে আন্দোলনকারীরা এখনও এ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ।

নতুন এই আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই সচিবালয়ে উত্তেজনা ও ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা চলছে যে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত সামনে আরও বড় পরিসরে প্রতিবাদের কারণ হতে পারে।