ঢাকা ০৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে ‘বাধা সৃষ্টি করছে’ সরকারের একটি অংশ: রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপেক্ষিত থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: রিজওয়ানা হাসান রামগড়ে সীমান্তে ৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ শক্তিশালী মেঘমালায় উত্তাল বঙ্গোপসাগর, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জাপানে ৫০ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ট্যাক্সিচালক গ্রেপ্তার, ৩০০০ ছবি-ভিডিও উদ্ধার সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে বড় পদক্ষেপ, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি নিশি ইসলামের মামলায় অভিনেত্রী শাওনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ছাড়লেন, কিশোরগঞ্জে ৩০ নেতাকর্মীর ছাত্রদলে যোগদান

ফেনী সীমান্তে বিএসএফ-এর পুশইন, ৬ পরিবারের ২৭ জন আটক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী কালিকাপুর সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পুশব্যাকের মাধ্যমে ছয়টি পরিবারের ২৭ জন সদস্যকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই সময় জোসপুর ও খাজুরিয়া বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং সবাইকে আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, ছয়জন নারী এবং ১৪ জন শিশু রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পুশব্যাককৃত ব্যক্তিরা কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তবে কীভাবে তারা ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

আটকদের বর্তমানে ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ফেনী ৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন বলেন, “বৃহস্পতিবার ভোররাতে ভারতীয় বিএসএফ পুশব্যাকের মাধ্যমে যেসব বাংলাদেশিকে সীমান্তে প্রবেশ করিয়েছে, তাদের আমরা আটক করেছি এবং নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করেছি।”

তিনি আরও জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সীমান্তে বিএসএফের এ ধরনের আচরণ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মানবিক বিবেচনায় শিশু ও নারীদের বিষয়টি বিশেষভাবে দেখার দাবি জানিয়েছেন অনেকে। প্রশাসন জানিয়েছে, আটককৃতদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এ ধরনের পুশব্যাক ঘটনা নতুন নয়। তবে বারবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি সীমান্ত নিরাপত্তা ও মানবাধিকার ইস্যুতে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেনী সীমান্তে বিএসএফ-এর পুশইন, ৬ পরিবারের ২৭ জন আটক

আপডেট সময় ১২:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী কালিকাপুর সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পুশব্যাকের মাধ্যমে ছয়টি পরিবারের ২৭ জন সদস্যকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই সময় জোসপুর ও খাজুরিয়া বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং সবাইকে আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, ছয়জন নারী এবং ১৪ জন শিশু রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পুশব্যাককৃত ব্যক্তিরা কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তবে কীভাবে তারা ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

আটকদের বর্তমানে ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ফেনী ৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন বলেন, “বৃহস্পতিবার ভোররাতে ভারতীয় বিএসএফ পুশব্যাকের মাধ্যমে যেসব বাংলাদেশিকে সীমান্তে প্রবেশ করিয়েছে, তাদের আমরা আটক করেছি এবং নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করেছি।”

তিনি আরও জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সীমান্তে বিএসএফের এ ধরনের আচরণ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মানবিক বিবেচনায় শিশু ও নারীদের বিষয়টি বিশেষভাবে দেখার দাবি জানিয়েছেন অনেকে। প্রশাসন জানিয়েছে, আটককৃতদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এ ধরনের পুশব্যাক ঘটনা নতুন নয়। তবে বারবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি সীমান্ত নিরাপত্তা ও মানবাধিকার ইস্যুতে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।