ঢাকা ১১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

শান্তি চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের প্রশংসা, ভারতকে ঐতিহাসিক পরাজয় বললেন শেহবাজ শরিফ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে দেশের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

শনিবার (১০ মে) মধ্যরাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেন, “যদি কেউ আমাদের স্বাধীনতাকে চ্যালেঞ্জ করে, আমরা প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ গড়ে তুলব।”

শেহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তান সবসময় শান্তির পক্ষপাতী। “আমরা শান্তিকামী রাষ্ট্র। কোটি কোটি মানুষের আবাসভূমি পাকিস্তান। শান্তির স্বার্থেই যুদ্ধবিরতির এই পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি,” বলেন তিনি।

ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার’ প্রশংসা করে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি চীন, সৌদি আরব, তুরস্ক, কাতার এবং যুক্তরাজ্যকেও সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। চীনকে ‘অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু’ বলে আখ্যা দেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

যুদ্ধবিরতির এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করে শেহবাজ বলেন, “এই বিজয়ে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অবদান অনস্বীকার্য। তারা দেশের মূলনীতি ও স্বাধীনতার প্রতি অনুগত থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।”

যদিও ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে, শেহবাজ এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি বলেন, “চুক্তিটি সকল পক্ষের কল্যাণের কথা ভেবেই করা হয়েছে।”

ভবিষ্যতে পানিবণ্টন ও কাশ্মীরসহ অন্যান্য দ্বন্দ্বপূর্ণ ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। যুদ্ধ নয়, আলোচনাই এখন একমাত্র পথ এই বার্তাই বারবার উঠে এসেছে তার বক্তব্যে।

ভাষণের শেষাংশে শেহবাজ শরিফ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, যেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’-এর নিরপেক্ষ তদন্ত করা হয়।

পাকিস্তানের এই শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিশ্ব কূটনীতিতে নতুন এক মোড় তৈরি করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

শান্তি চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের প্রশংসা, ভারতকে ঐতিহাসিক পরাজয় বললেন শেহবাজ শরিফ

আপডেট সময় ১১:০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে দেশের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

শনিবার (১০ মে) মধ্যরাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেন, “যদি কেউ আমাদের স্বাধীনতাকে চ্যালেঞ্জ করে, আমরা প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ গড়ে তুলব।”

শেহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তান সবসময় শান্তির পক্ষপাতী। “আমরা শান্তিকামী রাষ্ট্র। কোটি কোটি মানুষের আবাসভূমি পাকিস্তান। শান্তির স্বার্থেই যুদ্ধবিরতির এই পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি,” বলেন তিনি।

ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার’ প্রশংসা করে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি চীন, সৌদি আরব, তুরস্ক, কাতার এবং যুক্তরাজ্যকেও সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। চীনকে ‘অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু’ বলে আখ্যা দেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

যুদ্ধবিরতির এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করে শেহবাজ বলেন, “এই বিজয়ে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অবদান অনস্বীকার্য। তারা দেশের মূলনীতি ও স্বাধীনতার প্রতি অনুগত থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।”

যদিও ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে, শেহবাজ এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি বলেন, “চুক্তিটি সকল পক্ষের কল্যাণের কথা ভেবেই করা হয়েছে।”

ভবিষ্যতে পানিবণ্টন ও কাশ্মীরসহ অন্যান্য দ্বন্দ্বপূর্ণ ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। যুদ্ধ নয়, আলোচনাই এখন একমাত্র পথ এই বার্তাই বারবার উঠে এসেছে তার বক্তব্যে।

ভাষণের শেষাংশে শেহবাজ শরিফ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, যেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’-এর নিরপেক্ষ তদন্ত করা হয়।

পাকিস্তানের এই শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিশ্ব কূটনীতিতে নতুন এক মোড় তৈরি করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।