ঢাকা ০৩:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে আজ মুখোমুখি হবে মেসির ইন্টার মায়ামি ও পিএসজি হাতিয়ার কিশোরীকে নির্যাতন ও অপহরণ : চট্টগ্রামে অভিযুক্ত আটক জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার ব্যর্থ, এনসিপি নিজেই ঘোষণা দেবে: নাহিদ ইসলাম ভারতে রথযাত্রায় মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনায় নিহত ৩, আহত ১০ উত্তরার আজমপুরে ট্রাকচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় পাকিস্তান কোনো আপস করবে না: সেনাপ্রধান বেনফিকাকে হারিয়ে চেলসি ও বোতাফোগোর হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাস ডিএসইতে আধা ঘণ্টায় লেনদেন ৮০ কোটি টাকা, পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি স্থগিত করল আপিল বিভাগ পাকিস্তানেরসেন্ট্রাল জেলে বন্দিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় সুপারসহ ১৫ কর্মকর্তা বরখাস্ত

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার ৬০০ সেনা নিহত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 19

ছবি: সংগৃহীত

 

উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর এবার জানা গেল ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে দেশটির প্রায় ৬০০ সেনা নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য লি সিওং-কুয়েন জানান, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৪ হাজার ৭০০ সেনা হতাহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০০ জন। আহতদের সংখ্যা কয়েক হাজার বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া সোমবার প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় নিজেদের সেনা মোতায়েনের কথা স্বীকার করে। কেসিএনএ জানায়, কুরস্ক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইউক্রেনীয় নিয়ন্ত্রিত এলাকা পুনর্দখলে মস্কোকে সহায়তা করেছে পিয়ংইয়ংয়ের সেনারা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে দুই দেশের নীরবতার পর রাশিয়াও উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

লি সিওং-কুয়েন জানান, এই বছর প্রায় ২ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেককে রাজধানী পিয়ংইয়ংসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে’ সহায়তা করতে উত্তর কোরিয়া দুই ধাপে মোট ১৮ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল। তবে মার্চের পর ওই অঞ্চলে সংঘর্ষের মাত্রা কিছুটা কমেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ছয় মাসের যুদ্ধে অংশগ্রহণের পর উত্তর কোরিয়ার বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে।

অন্যদিকে, সিউল ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সহায়তার জন্য বারবার উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করে আসছে। কন্টেইনারভর্তি অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সিউল দাবি করেছে, এর বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে মস্কো-পিয়ংইয়ং সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। গত বছর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়া সফর করেন এবং সেখানে দুই দেশের মধ্যে একটি বিস্তৃত সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার ধারা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া যে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছে, তা মূলত রাশিয়ায় রপ্তানির উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে—যাতে এসব ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা যায়।

সূত্র: এএফপি

উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর এবার জানা গেল ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে দেশটির প্রায় ৬০০ সেনা নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য লি সিওং-কুয়েন জানান, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৪ হাজার ৭০০ সেনা হতাহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০০ জন। আহতদের সংখ্যা কয়েক হাজার বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া সোমবার প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় নিজেদের সেনা মোতায়েনের কথা স্বীকার করে। কেসিএনএ জানায়, কুরস্ক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইউক্রেনীয় নিয়ন্ত্রিত এলাকা পুনর্দখলে মস্কোকে সহায়তা করেছে পিয়ংইয়ংয়ের সেনারা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে দুই দেশের নীরবতার পর রাশিয়াও উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

লি সিওং-কুয়েন জানান, এই বছর প্রায় ২ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেককে রাজধানী পিয়ংইয়ংসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে’ সহায়তা করতে উত্তর কোরিয়া দুই ধাপে মোট ১৮ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল। তবে মার্চের পর ওই অঞ্চলে সংঘর্ষের মাত্রা কিছুটা কমেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ছয় মাসের যুদ্ধে অংশগ্রহণের পর উত্তর কোরিয়ার বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে।

অন্যদিকে, সিউল ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সহায়তার জন্য বারবার উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করে আসছে। কন্টেইনারভর্তি অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সিউল দাবি করেছে, এর বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে মস্কো-পিয়ংইয়ং সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। গত বছর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়া সফর করেন এবং সেখানে দুই দেশের মধ্যে একটি বিস্তৃত সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার ধারা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া যে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছে, তা মূলত রাশিয়ায় রপ্তানির উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে—যাতে এসব ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা যায়।

সূত্র: এএফপি

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার ৬০০ সেনা নিহত

আপডেট সময় ০৫:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর এবার জানা গেল ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে দেশটির প্রায় ৬০০ সেনা নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য লি সিওং-কুয়েন জানান, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৪ হাজার ৭০০ সেনা হতাহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০০ জন। আহতদের সংখ্যা কয়েক হাজার বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া সোমবার প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় নিজেদের সেনা মোতায়েনের কথা স্বীকার করে। কেসিএনএ জানায়, কুরস্ক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইউক্রেনীয় নিয়ন্ত্রিত এলাকা পুনর্দখলে মস্কোকে সহায়তা করেছে পিয়ংইয়ংয়ের সেনারা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে দুই দেশের নীরবতার পর রাশিয়াও উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

লি সিওং-কুয়েন জানান, এই বছর প্রায় ২ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেককে রাজধানী পিয়ংইয়ংসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে’ সহায়তা করতে উত্তর কোরিয়া দুই ধাপে মোট ১৮ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল। তবে মার্চের পর ওই অঞ্চলে সংঘর্ষের মাত্রা কিছুটা কমেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ছয় মাসের যুদ্ধে অংশগ্রহণের পর উত্তর কোরিয়ার বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে।

অন্যদিকে, সিউল ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সহায়তার জন্য বারবার উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করে আসছে। কন্টেইনারভর্তি অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সিউল দাবি করেছে, এর বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে মস্কো-পিয়ংইয়ং সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। গত বছর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়া সফর করেন এবং সেখানে দুই দেশের মধ্যে একটি বিস্তৃত সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার ধারা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া যে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছে, তা মূলত রাশিয়ায় রপ্তানির উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে—যাতে এসব ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা যায়।

সূত্র: এএফপি

উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর এবার জানা গেল ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে দেশটির প্রায় ৬০০ সেনা নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য লি সিওং-কুয়েন জানান, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৪ হাজার ৭০০ সেনা হতাহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০০ জন। আহতদের সংখ্যা কয়েক হাজার বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া সোমবার প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় নিজেদের সেনা মোতায়েনের কথা স্বীকার করে। কেসিএনএ জানায়, কুরস্ক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইউক্রেনীয় নিয়ন্ত্রিত এলাকা পুনর্দখলে মস্কোকে সহায়তা করেছে পিয়ংইয়ংয়ের সেনারা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে দুই দেশের নীরবতার পর রাশিয়াও উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

লি সিওং-কুয়েন জানান, এই বছর প্রায় ২ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেককে রাজধানী পিয়ংইয়ংসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে’ সহায়তা করতে উত্তর কোরিয়া দুই ধাপে মোট ১৮ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল। তবে মার্চের পর ওই অঞ্চলে সংঘর্ষের মাত্রা কিছুটা কমেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ছয় মাসের যুদ্ধে অংশগ্রহণের পর উত্তর কোরিয়ার বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে।

অন্যদিকে, সিউল ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সহায়তার জন্য বারবার উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করে আসছে। কন্টেইনারভর্তি অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সিউল দাবি করেছে, এর বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে মস্কো-পিয়ংইয়ং সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। গত বছর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়া সফর করেন এবং সেখানে দুই দেশের মধ্যে একটি বিস্তৃত সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার ধারা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া যে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছে, তা মূলত রাশিয়ায় রপ্তানির উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে—যাতে এসব ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা যায়।

সূত্র: এএফপি