ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪২৯ জন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রগতি নেই: অভিযোগ নাহিদ ইসলামের পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গুলতি’ মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শেরপুরের হলদীগ্রাম সীমান্তে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯

কলকাতার বড়বাজারে হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত অন্তত ১৪

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 29

ছবি: সংগৃহীত

 

কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী বড়বাজারের মেছুয়ার ফলপট্টির মদন মোহন বর্মণ স্ট্রিটের একটি আবাসিক হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ আগুন লাগে ওই হোটেলে। অগ্নিকাণ্ডের সময় হোটেলের ৪২টি কক্ষে মোট ৮৮ জন অবস্থান করছিলেন। আগুন লাগার পরপরই চারদিকে ধোঁয়ায় ভরে যায় পুরো ভবনটি। মুহূর্তেই তা যেন গ্যাস চেম্বারে রূপ নেয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। প্রায় আট ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় তারা। উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া কর্মীরা জানালার কাঁচ ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং ধাপে ধাপে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, মৃতদের বেশিরভাগই ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরোধে মারা গেছেন। হোটেলের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কতটা কার্যকর ছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

ঘটনার পর কলকাতার মেয়র মনোজ বর্মা জানান, অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যেই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগুন লাগার পর হোটেলের ভিতর থেকে আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু হয়। অনেকেই জানালা দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন। উদ্ধার হওয়া আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মৃতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এবং আহতদের সুচিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন।

কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে হোটেলটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে শহরের আবাসিক হোটেলগুলোর অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা পুনঃপরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় শহরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিরাপত্তা ও অগ্নি সতর্কতা নিয়ে নতুন করে ভাবনার সৃষ্টি করেছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

কলকাতার বড়বাজারে হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত অন্তত ১৪

আপডেট সময় ০৯:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী বড়বাজারের মেছুয়ার ফলপট্টির মদন মোহন বর্মণ স্ট্রিটের একটি আবাসিক হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ আগুন লাগে ওই হোটেলে। অগ্নিকাণ্ডের সময় হোটেলের ৪২টি কক্ষে মোট ৮৮ জন অবস্থান করছিলেন। আগুন লাগার পরপরই চারদিকে ধোঁয়ায় ভরে যায় পুরো ভবনটি। মুহূর্তেই তা যেন গ্যাস চেম্বারে রূপ নেয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। প্রায় আট ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় তারা। উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া কর্মীরা জানালার কাঁচ ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং ধাপে ধাপে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, মৃতদের বেশিরভাগই ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরোধে মারা গেছেন। হোটেলের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কতটা কার্যকর ছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

ঘটনার পর কলকাতার মেয়র মনোজ বর্মা জানান, অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যেই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগুন লাগার পর হোটেলের ভিতর থেকে আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু হয়। অনেকেই জানালা দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন। উদ্ধার হওয়া আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মৃতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এবং আহতদের সুচিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন।

কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে হোটেলটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে শহরের আবাসিক হোটেলগুলোর অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা পুনঃপরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় শহরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিরাপত্তা ও অগ্নি সতর্কতা নিয়ে নতুন করে ভাবনার সৃষ্টি করেছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।