ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

পেহেলগামে হামলা ভারতীয় ষড়যন্ত্র, দাবি সাইফুল্লাহ খালিদের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 64

ছবি: সংগৃহীত

 

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জন্য ভারতই দায়ী এমন দাবি করলেন লস্কর-ই-তৈয়বার ডেপুটি চিফ সাইফুল্লাহ খালিদ, যিনি সাইফুল্লাহ কাসুরি নামেও পরিচিত। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে (যার সত্যতা এখনও যাচাই হয়নি) তাকে এই দাবি করতে শোনা যায়।

সাইফুল্লাহ বলেন, “ভারত নিজেরাই এই হামলার পরিকল্পনা করেছে। পাকিস্তান কিংবা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের এর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। পেহেলগামে যা ঘটেছে, তা ভারতের সাজানো নাটক।” তিনি আরও বলেন, “আমরা এই হামলার নিন্দা জানাই। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়া পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে। ভারত পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে চায়। কাশ্মীরে ভারত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তারা ১০ লাখ সেনা পাঠিয়ে শান্তি নষ্ট করছে।”

কাশ্মীরের পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবার দুপুরে চালানো ওই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এই নৃশংস হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, যা ২০১৯ সালে কাশ্মীরের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়।

ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা, টিআরএফ মূলত লস্কর-ই-তৈয়বারই একটি ছায়া সংগঠন। আর সাইফুল্লাহ খালিদ ছিলেন এই সংগঠনের অন্যতম শীর্ষ নেতা। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, সাইফুল্লাহর পরিকল্পনাতেই পাঁচ থেকে ছয় জন জঙ্গি ওই হামলা চালায়। তারা হঠাৎ করেই উপত্যকার নিরীহ মানুষদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায়।

তবে সাইফুল্লাহ এসব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন, ভারত এই হামলা করে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মহলের চোখে দোষারোপ করতে চায়।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা এখন নতুন মোড় নিচ্ছে।

এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন কাশ্মীরের পরিস্থিতির দিকে, যেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনার পথ আরও কঠিন হয়ে উঠছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পেহেলগামে হামলা ভারতীয় ষড়যন্ত্র, দাবি সাইফুল্লাহ খালিদের

আপডেট সময় ০১:০৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

 

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জন্য ভারতই দায়ী এমন দাবি করলেন লস্কর-ই-তৈয়বার ডেপুটি চিফ সাইফুল্লাহ খালিদ, যিনি সাইফুল্লাহ কাসুরি নামেও পরিচিত। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে (যার সত্যতা এখনও যাচাই হয়নি) তাকে এই দাবি করতে শোনা যায়।

সাইফুল্লাহ বলেন, “ভারত নিজেরাই এই হামলার পরিকল্পনা করেছে। পাকিস্তান কিংবা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের এর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। পেহেলগামে যা ঘটেছে, তা ভারতের সাজানো নাটক।” তিনি আরও বলেন, “আমরা এই হামলার নিন্দা জানাই। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়া পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে। ভারত পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে চায়। কাশ্মীরে ভারত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তারা ১০ লাখ সেনা পাঠিয়ে শান্তি নষ্ট করছে।”

কাশ্মীরের পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবার দুপুরে চালানো ওই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এই নৃশংস হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, যা ২০১৯ সালে কাশ্মীরের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়।

ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা, টিআরএফ মূলত লস্কর-ই-তৈয়বারই একটি ছায়া সংগঠন। আর সাইফুল্লাহ খালিদ ছিলেন এই সংগঠনের অন্যতম শীর্ষ নেতা। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, সাইফুল্লাহর পরিকল্পনাতেই পাঁচ থেকে ছয় জন জঙ্গি ওই হামলা চালায়। তারা হঠাৎ করেই উপত্যকার নিরীহ মানুষদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায়।

তবে সাইফুল্লাহ এসব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন, ভারত এই হামলা করে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মহলের চোখে দোষারোপ করতে চায়।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা এখন নতুন মোড় নিচ্ছে।

এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন কাশ্মীরের পরিস্থিতির দিকে, যেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনার পথ আরও কঠিন হয়ে উঠছে।