ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

শীতে পা ফাটা রোধে করণীয়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 65

 

শীতকালে পা ফাটা একটি সাধারণ সমস্যা, যা আমাদের সবার জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। শীতের শুষ্ক বাতাস এবং ঠান্ডা তাপমাত্রা ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। ফলে পা ফাটার প্রবণতা বেড়ে যায়। পায়ের ত্বক রুক্ষ হয়ে গেলেই দেখা দেয় পা ফাটা সমস্যা। এ সমস্যা গরমের সময় শরীরে পানির অভাবে হয় কিন্তু শীতে এর সঙ্গে যোগ হয় ঠাণ্ডা বৈরী আবহাওয়াও। শীতে অনেকেরই পা ফাটে। পা না ফাটলেও ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে, কারও চামড়া ওঠে। তাই সবারই কমবেশি আলাদা করে পায়ের যত্ন নেওয়া উচিত। পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া কষ্টকর ও বিব্রতকর সমস্যা।

 

তবে কিছু সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করলেই শীতে পা ফাটা রোধ করা সম্ভব। আসুন, জেনে নেই শীতে পা ফাটার কারণ ও রোধে করণীয়গুলো।

 

শীতে পা ফাটার কারণগুলো হলো:

 

১. শুষ্ক আবহাওয়া এবং ঠান্ডা বাতাস ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়।

২. নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করা।

৩. পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়।

৪. গরম পানি দিয়ে পা ধৌত করলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল সরিয়ে যায়।

৫. ধুলাবালি এবং অপরিষ্কার পায়ের যত্নের অভাব।

৬. বন্ধ বা অস্বস্তিকর জুতা পরিধান।

৭. অতিরিক্ত রুক্ষ ত্বক বা পায়ের চামড়ায় অতিরিক্ত চাপ।

 

শীতকালে পা ফাটার সমস্যা অনেকেরই দৈনন্দিন জীবনে অসুবিধা সৃষ্টি করে। ত্বকের শুষ্কতা এবং অপর্যাপ্ত যত্ন এই সমস্যার মূল কারণ। আসুন জেনে নেই, পা ফাটা রোধে করণীয়গুলো 

 

১. পায়ের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা

প্রতিদিন পা ভালোভাবে পরিষ্কার এবং মৃত কোষ দূর করার জন্য গরম পানিতে ভিজিয়ে পিউমিস স্টোন ব্যবহার করুন। এতে ত্বক নরম থাকবে এবং ময়লা জমতে পারবে না।

 

২. পায়ের ত্বক আর্দ্র রাখা

গোসলের পর বা রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে ময়েশ্চারাইজার বা তেল ব্যবহার করুন, যা ত্বকের শুষ্কতা কমাতে কার্যকর।

 

৩. হালকা গরম পানিতে পা ভিজানো

হালকা গরম পানিতে সপ্তাহে কয়েকবার পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয় এবং রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।

 

৪. সঠিক জুতা ব্যবহার

শীতে আরামদায়ক এবং উষ্ণ জুতা পরুন, এবং পায়ে আর্দ্রতা ধরে রাখতে মোজা ব্যবহার করুন।

 

৫. পায়ের যত্নে ঘরোয়া চিকিৎসা 

মধু, দুধ, কিংবা অ্যালোভেরা জেলের মতো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে পায়ের ত্বক নরম ও মসৃণ রাখুন।

 

৬. পর্যাপ্ত পানি পান করা

শীতকালে ত্বক আর্দ্র রাখতে দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

 

৭. সুষম খাদ্য গ্রহণ

ভিটামিন এ, সি, এবং ই সমৃদ্ধ খাবার ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, তাই শাকসবজি ও ফলমূল বেশি খান।

 

৮. চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া

যদি পা ফাটা গুরুতর হয় বা কোনো ঘরোয়া উপায়ে উন্নতি না হয়, তবে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীতে পা ফাটা রোধে করণীয়

আপডেট সময় ০৩:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

 

শীতকালে পা ফাটা একটি সাধারণ সমস্যা, যা আমাদের সবার জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। শীতের শুষ্ক বাতাস এবং ঠান্ডা তাপমাত্রা ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। ফলে পা ফাটার প্রবণতা বেড়ে যায়। পায়ের ত্বক রুক্ষ হয়ে গেলেই দেখা দেয় পা ফাটা সমস্যা। এ সমস্যা গরমের সময় শরীরে পানির অভাবে হয় কিন্তু শীতে এর সঙ্গে যোগ হয় ঠাণ্ডা বৈরী আবহাওয়াও। শীতে অনেকেরই পা ফাটে। পা না ফাটলেও ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে, কারও চামড়া ওঠে। তাই সবারই কমবেশি আলাদা করে পায়ের যত্ন নেওয়া উচিত। পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া কষ্টকর ও বিব্রতকর সমস্যা।

 

তবে কিছু সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করলেই শীতে পা ফাটা রোধ করা সম্ভব। আসুন, জেনে নেই শীতে পা ফাটার কারণ ও রোধে করণীয়গুলো।

 

শীতে পা ফাটার কারণগুলো হলো:

 

১. শুষ্ক আবহাওয়া এবং ঠান্ডা বাতাস ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়।

২. নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করা।

৩. পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়।

৪. গরম পানি দিয়ে পা ধৌত করলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল সরিয়ে যায়।

৫. ধুলাবালি এবং অপরিষ্কার পায়ের যত্নের অভাব।

৬. বন্ধ বা অস্বস্তিকর জুতা পরিধান।

৭. অতিরিক্ত রুক্ষ ত্বক বা পায়ের চামড়ায় অতিরিক্ত চাপ।

 

শীতকালে পা ফাটার সমস্যা অনেকেরই দৈনন্দিন জীবনে অসুবিধা সৃষ্টি করে। ত্বকের শুষ্কতা এবং অপর্যাপ্ত যত্ন এই সমস্যার মূল কারণ। আসুন জেনে নেই, পা ফাটা রোধে করণীয়গুলো 

 

১. পায়ের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা

প্রতিদিন পা ভালোভাবে পরিষ্কার এবং মৃত কোষ দূর করার জন্য গরম পানিতে ভিজিয়ে পিউমিস স্টোন ব্যবহার করুন। এতে ত্বক নরম থাকবে এবং ময়লা জমতে পারবে না।

 

২. পায়ের ত্বক আর্দ্র রাখা

গোসলের পর বা রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে ময়েশ্চারাইজার বা তেল ব্যবহার করুন, যা ত্বকের শুষ্কতা কমাতে কার্যকর।

 

৩. হালকা গরম পানিতে পা ভিজানো

হালকা গরম পানিতে সপ্তাহে কয়েকবার পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয় এবং রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।

 

৪. সঠিক জুতা ব্যবহার

শীতে আরামদায়ক এবং উষ্ণ জুতা পরুন, এবং পায়ে আর্দ্রতা ধরে রাখতে মোজা ব্যবহার করুন।

 

৫. পায়ের যত্নে ঘরোয়া চিকিৎসা 

মধু, দুধ, কিংবা অ্যালোভেরা জেলের মতো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে পায়ের ত্বক নরম ও মসৃণ রাখুন।

 

৬. পর্যাপ্ত পানি পান করা

শীতকালে ত্বক আর্দ্র রাখতে দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

 

৭. সুষম খাদ্য গ্রহণ

ভিটামিন এ, সি, এবং ই সমৃদ্ধ খাবার ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, তাই শাকসবজি ও ফলমূল বেশি খান।

 

৮. চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া

যদি পা ফাটা গুরুতর হয় বা কোনো ঘরোয়া উপায়ে উন্নতি না হয়, তবে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।