০৬:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাস অগ্রসর না হলে গাজাকে ‘ধুলোয় মিশিয়ে’ দেওয়ার হুমকি ইসরাইলের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / 55

ছবি সংগৃহীত

 

 

যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনা দ্রুত অগ্রসর না হলে গাজা শহরকে ‘ধুলোয় মিশিয়ে’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইসরাইল। বুধবার (২ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার গাজা শহরের বেশ কয়েকটি এলাকার বেসামরিক বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যেতে নির্দেশ দেয় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। পর্যবেক্ষকদের মতে, এটি মূলত গাজায় স্থল অভিযান নতুন করে শুরুরই আভাস।

একজন শীর্ষস্থানীয় ইসরাইলি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে অ্যাক্সিওস জানায়, “যদি যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের আলোচনা কার্যকরভাবে অগ্রসর না হয়, তাহলে আমরা গাজা শহর এবং কেন্দ্রীয় শরণার্থী শিবিরগুলোর পরিস্থিতিকেও রাফাহর মতো করে দেব। তখন সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এটি করতে চাই না। তবে জিম্মি মুক্তি চুক্তিতে অগ্রগতি না হলে আমাদের আর কোনো বিকল্প থাকবে না।”

এই হুমকির খবর এমন সময়ে প্রকাশ পেল যখন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরাইল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং হামাসকেও এই চুক্তি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে এ নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি ইসরাইল বা হামাস।

গাজায় কয়েক মাস ধরে চলা সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে এবং বিপুলসংখ্যক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠন ইসরাইল ও হামাস উভয় পক্ষকেই মানবিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি ঘটানোর আহ্বান জানাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরাইলের নতুন করে এই হুমকি গাজায় সহিংসতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে এবং যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ক্ষীণ করে তুলতে পারে। এরইমধ্যে গাজা শহরের বহু মানুষ আতঙ্কে দক্ষিণে পালিয়ে যাচ্ছেন।

যদিও ইসরাইল বলছে, তারা হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম ঠেকাতেই এমন কড়া অবস্থান নিয়েছে, তবে এতে নিরীহ মানুষের জানমালের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আলোচনায় অগ্রগতি না হলে গাজায় নতুন দফার হামলা শুরু হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাস অগ্রসর না হলে গাজাকে ‘ধুলোয় মিশিয়ে’ দেওয়ার হুমকি ইসরাইলের

আপডেট সময় ১২:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

 

 

যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনা দ্রুত অগ্রসর না হলে গাজা শহরকে ‘ধুলোয় মিশিয়ে’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইসরাইল। বুধবার (২ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার গাজা শহরের বেশ কয়েকটি এলাকার বেসামরিক বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যেতে নির্দেশ দেয় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। পর্যবেক্ষকদের মতে, এটি মূলত গাজায় স্থল অভিযান নতুন করে শুরুরই আভাস।

একজন শীর্ষস্থানীয় ইসরাইলি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে অ্যাক্সিওস জানায়, “যদি যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের আলোচনা কার্যকরভাবে অগ্রসর না হয়, তাহলে আমরা গাজা শহর এবং কেন্দ্রীয় শরণার্থী শিবিরগুলোর পরিস্থিতিকেও রাফাহর মতো করে দেব। তখন সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এটি করতে চাই না। তবে জিম্মি মুক্তি চুক্তিতে অগ্রগতি না হলে আমাদের আর কোনো বিকল্প থাকবে না।”

এই হুমকির খবর এমন সময়ে প্রকাশ পেল যখন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরাইল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং হামাসকেও এই চুক্তি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে এ নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি ইসরাইল বা হামাস।

গাজায় কয়েক মাস ধরে চলা সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে এবং বিপুলসংখ্যক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠন ইসরাইল ও হামাস উভয় পক্ষকেই মানবিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি ঘটানোর আহ্বান জানাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরাইলের নতুন করে এই হুমকি গাজায় সহিংসতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে এবং যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ক্ষীণ করে তুলতে পারে। এরইমধ্যে গাজা শহরের বহু মানুষ আতঙ্কে দক্ষিণে পালিয়ে যাচ্ছেন।

যদিও ইসরাইল বলছে, তারা হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম ঠেকাতেই এমন কড়া অবস্থান নিয়েছে, তবে এতে নিরীহ মানুষের জানমালের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আলোচনায় অগ্রগতি না হলে গাজায় নতুন দফার হামলা শুরু হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।