ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র সহায়তা স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র, উদ্বেগ বাড়ছে প্রতিরক্ষায়

- আপডেট সময় ১২:১২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
- / 3
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে সরবরাহকৃত কিছু অস্ত্র আপাতত স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, এমনটি জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। তিন বছর ধরে চলমান সংঘাতে সম্প্রতি রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মুখে পড়েছে ইউক্রেন, ফলে এই সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত দেশটির জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউজের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আনা কেলি এক ইমেইলে এএফপিকে বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য অংশে আমাদের সামরিক সহায়তা ও দায়বদ্ধতা পুনর্বিবেচনা করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, সামরিক সহায়তা কমানোর এই ঘোষণা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে। তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান দ্রুততর করতে চাপ দিচ্ছেন। একই সঙ্গে রিপাবলিকান শিবির গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ও ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার দিকে এগোচ্ছে।
পেন্টাগনের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পূর্বে প্রতিশ্রুত কিছু অস্ত্রের মজুত উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ঠিক কোন ধরনের অস্ত্রের সরবরাহ স্থগিত করা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এতে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র এবং নির্ভুল হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র আনা কেলি জোর দিয়ে বলেছেন, “আমেরিকার সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।” তিনি গত মাসে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রসঙ্গ টেনে আনেন, যা আমেরিকার শক্তির প্রমাণ বলে উল্লেখ করেন।
এদিকে, সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসে ন্যাটো সম্মেলনের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তখন ট্রাম্প বলেন, “আমরা যাচাই করছি, কিছু অস্ত্র দেওয়া সম্ভব কি না।”
এর আগে মার্চ মাসে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে এক উত্তপ্ত বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের বরাদ্দ করা সামরিক সহায়তা সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প।
সূত্র: রয়টার্স, এএফপি