০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার তুরাগ নদীর ১৭ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ে অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংক যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে, তারাই এখন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আসিফ মাহমুদ বিষাক্ত মদ্যপানে মুন্সিগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৩ লেবাননে সব অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন বৈশ্বিক ড্রোন বিক্রি বাড়াতে ১৯৮৭ সালের ব্যাখ্যা পরিবর্তন করছে যুক্তরাষ্ট্র নথি ফাঁস: ২০১৯ সালে মার্কিন বাহিনী উত্তর কোরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে যুক্তরাজ্য–নরওয়ের মধ্যে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সিরিয়া থেকে বেআইনিভাবে তেল উত্তোলন করছে SDF/YPG, AANES

রাশেদ খান মেনন পাঁচ দিনের রিমান্ডে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 30

ছবি সংগৃহীত

 

জুলাই মাসের গণ-আন্দোলনের সময় জুট ব্যবসায়ী মো. মনির হত্যার ঘটনায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

সোমবার (২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ. আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

এর আগে শাহবাগ থানা-পুলিশ মনির হত্যা মামলায় মেননের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আজিজুল হক, আর আসামিপক্ষে ছিলেন তানভীর আহমেদ।

এছাড়া জুলাই আন্দোলনে নিহত সাজেদুর রহমান ওমর-এর ঘটনায় দায়ের করা যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় ঢাকার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে, এবং তেজগাঁও থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ৫ আগস্ট, সরকার পতনের আন্দোলনের অংশ হিসেবে চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে যোগ দেন জুট ব্যবসায়ী মো. মনির। ওই সময়কার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।

মৃত্যুর সাত মাস পর, গত ১৪ মার্চ মনিরের স্ত্রী শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে রাশেদ খান মেননের উসকানি ও উপস্থিতি এই হত্যার সহায়তা করে।

এর আগে, ২১ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন ছাত্রনেতা সাজেদুর রহমান ওমর। পরে তিনি ২৪ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এই ঘটনায় চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি, যাত্রাবাড়ী থানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়, যা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে কয়েক দফা সরকারবিরোধী কর্মসূচি ও ছাত্র গণআন্দোলনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায়। এসব ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাধারণ মানুষ হতাহত হয়।

এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত বহু মামলা, রিমান্ড ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাশেদ খান মেনন পাঁচ দিনের রিমান্ডে

আপডেট সময় ১২:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

জুলাই মাসের গণ-আন্দোলনের সময় জুট ব্যবসায়ী মো. মনির হত্যার ঘটনায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

সোমবার (২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ. আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

এর আগে শাহবাগ থানা-পুলিশ মনির হত্যা মামলায় মেননের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আজিজুল হক, আর আসামিপক্ষে ছিলেন তানভীর আহমেদ।

এছাড়া জুলাই আন্দোলনে নিহত সাজেদুর রহমান ওমর-এর ঘটনায় দায়ের করা যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় ঢাকার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে, এবং তেজগাঁও থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ৫ আগস্ট, সরকার পতনের আন্দোলনের অংশ হিসেবে চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে যোগ দেন জুট ব্যবসায়ী মো. মনির। ওই সময়কার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।

মৃত্যুর সাত মাস পর, গত ১৪ মার্চ মনিরের স্ত্রী শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে রাশেদ খান মেননের উসকানি ও উপস্থিতি এই হত্যার সহায়তা করে।

এর আগে, ২১ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন ছাত্রনেতা সাজেদুর রহমান ওমর। পরে তিনি ২৪ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এই ঘটনায় চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি, যাত্রাবাড়ী থানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়, যা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে কয়েক দফা সরকারবিরোধী কর্মসূচি ও ছাত্র গণআন্দোলনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায়। এসব ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাধারণ মানুষ হতাহত হয়।

এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত বহু মামলা, রিমান্ড ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে।