ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব, জয়ের খোঁজে দুই দলই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে স্টপেজ থেকেই যাত্রীদের ছবি তুলতে হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সচিবালয়ের সংকট সমাধানে উপদেষ্টা পর্যায়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা পুশ-ইন ইস্যুতে ভারতকে আবারও চিঠি দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ১২০০ বস্তা চাল “গুজব”: প্রতিক্রিয়া জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে: গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং ভেসেল থেকে পড়ে ২ নাবিকের মর্মান্তিক মৃত্যু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ২০০ একর জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হত্যাসহ ৫ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর

রাশেদ খান মেনন পাঁচ দিনের রিমান্ডে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

জুলাই মাসের গণ-আন্দোলনের সময় জুট ব্যবসায়ী মো. মনির হত্যার ঘটনায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

সোমবার (২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ. আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

এর আগে শাহবাগ থানা-পুলিশ মনির হত্যা মামলায় মেননের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আজিজুল হক, আর আসামিপক্ষে ছিলেন তানভীর আহমেদ।

এছাড়া জুলাই আন্দোলনে নিহত সাজেদুর রহমান ওমর-এর ঘটনায় দায়ের করা যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় ঢাকার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে, এবং তেজগাঁও থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ৫ আগস্ট, সরকার পতনের আন্দোলনের অংশ হিসেবে চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে যোগ দেন জুট ব্যবসায়ী মো. মনির। ওই সময়কার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।

মৃত্যুর সাত মাস পর, গত ১৪ মার্চ মনিরের স্ত্রী শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে রাশেদ খান মেননের উসকানি ও উপস্থিতি এই হত্যার সহায়তা করে।

এর আগে, ২১ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন ছাত্রনেতা সাজেদুর রহমান ওমর। পরে তিনি ২৪ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এই ঘটনায় চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি, যাত্রাবাড়ী থানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়, যা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে কয়েক দফা সরকারবিরোধী কর্মসূচি ও ছাত্র গণআন্দোলনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায়। এসব ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাধারণ মানুষ হতাহত হয়।

এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত বহু মামলা, রিমান্ড ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাশেদ খান মেনন পাঁচ দিনের রিমান্ডে

আপডেট সময় ১২:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

জুলাই মাসের গণ-আন্দোলনের সময় জুট ব্যবসায়ী মো. মনির হত্যার ঘটনায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

সোমবার (২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ. আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

এর আগে শাহবাগ থানা-পুলিশ মনির হত্যা মামলায় মেননের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আজিজুল হক, আর আসামিপক্ষে ছিলেন তানভীর আহমেদ।

এছাড়া জুলাই আন্দোলনে নিহত সাজেদুর রহমান ওমর-এর ঘটনায় দায়ের করা যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় ঢাকার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে, এবং তেজগাঁও থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ৫ আগস্ট, সরকার পতনের আন্দোলনের অংশ হিসেবে চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে যোগ দেন জুট ব্যবসায়ী মো. মনির। ওই সময়কার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।

মৃত্যুর সাত মাস পর, গত ১৪ মার্চ মনিরের স্ত্রী শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে রাশেদ খান মেননের উসকানি ও উপস্থিতি এই হত্যার সহায়তা করে।

এর আগে, ২১ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন ছাত্রনেতা সাজেদুর রহমান ওমর। পরে তিনি ২৪ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এই ঘটনায় চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি, যাত্রাবাড়ী থানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়, যা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে কয়েক দফা সরকারবিরোধী কর্মসূচি ও ছাত্র গণআন্দোলনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায়। এসব ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাধারণ মানুষ হতাহত হয়।

এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত বহু মামলা, রিমান্ড ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে।