পিলখানা বিদ্রোহ: বিস্ফোরক মামলায় ২৩৯ আসামির জামিন আদেশ ১০ এপ্রিল

- আপডেট সময় ০৫:০৬:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
- / 30
পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় আটক ২৩৯ বিডিআর জওয়ানের জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এই দিন নির্ধারণ করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মামলার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তবে শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য রবিবার দিন নির্ধারিত হলেও তা পিছিয়ে সোমবার নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে আদেশ ছাড়াই তৃতীয়বারের মতো সময় পিছিয়ে ১০ এপ্রিল নতুন তারিখ দেওয়া হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে ঘটে এক ভয়াবহ বিদ্রোহ। দুই দিনের এই রক্তাক্ত ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।
হত্যা মামলায় বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর আদালত রায় ঘোষণা করেন। এতে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে, ২৭৮ জন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর আপিলের রায় ঘোষণা করে। তাতে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার পাশাপাশি ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২২৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড বহাল থাকে।
হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ২২৬ জন আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। অন্যদিকে, ৮৩ জনের খালাস ও শাস্তি হ্রাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষও আপিল করেছে, যা বর্তমানে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
অন্যদিকে, বিস্ফোরক আইনের মামলায় ২০১০ সালে ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। সাম্প্রতিক সময়ে এই বিদ্রোহের ঘটনায় পুনঃতদন্তের দাবি নতুন করে সামনে এসেছে। গত ১৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ নিয়ে যান শহীদ পরিবারের সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায়, ২৪ ডিসেম্বর সরকার বিচারপতি আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছে, যার জন্য ৯০ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার ও পুনঃতদন্তের দাবি দিন দিন জোরালো হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, নতুন তদন্ত কমিশনের কার্যক্রম কতটা কার্যকর হয় এবং বিস্ফোরক মামলার আসামিদের ভাগ্যে কী সিদ্ধান্ত আসে।