ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জৈন্তাপুর ৭টি ভারতীয় মহিষ আটক করলো পুলিশ বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন, দেশের বাজারেও কমলো মূল্য ইসরাইলে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির দাবিতে ফের বিক্ষোভ, সাহসী সিদ্ধান্তের আহ্বান ক্ষমতায় এসে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে: বিএনপি নেতা রিজভী ভিজিট ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ প্রবাসীদের জন্য সুখবর দিল সৌদি পাসপোর্ট অধিদপ্তর জাতীয় সনদ প্রণয়নে অনিশ্চয়তা, ঐকমত্য গঠনে অগ্রগতি না হওয়ায় শঙ্কা: আলী রীয়াজ বিএনপির নাম ব্যবহার করে যারা চাঁদাবাজি করছে, এদের প্রতিহত করুন: মির্জা আব্বাস সারা দেশে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে আজ মুখোমুখি হবে মেসির ইন্টার মায়ামি ও পিএসজি হাতিয়ার কিশোরীকে নির্যাতন ও অপহরণ : চট্টগ্রামে অভিযুক্ত আটক

বেলুচিস্তানে ট্রেনে সশস্ত্র হামলা: নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৮০ যাত্রী উদ্ধার, নিহত ১৩

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫১:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বোলান এলাকায় যাত্রীবাহী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা চালিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করেছিল সশস্ত্র গোষ্ঠী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৮০ জনকে উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এ ঘটনায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর অন্তত ১৩ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মঙ্গলবার কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালায় নিষিদ্ধ সশস্ত্র গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। বোলান পাসের ধাদার এলাকায় ট্রেনটি থামিয়ে যাত্রীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় হামলাকারীরা এবং নারী-শিশুসহ বহু যাত্রীকে জিম্মি করে।

নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান শুরু করলে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ছড়িয়ে পড়ে এবং যাত্রীদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। রেডিও পাকিস্তান জানায়, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ, ২৬ জন নারী ও ১১ জন শিশু রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী বাকি যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

জিও নিউজের এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তালাল চৌধুরী জানান, দুর্গম এলাকায় ট্রেনটি জিম্মি করার পর নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কিছু যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে কতজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসীরা কিছু যাত্রীকে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে গেছে এবং নারী-শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে, যা উদ্ধার অভিযানকে আরও কঠিন করে তুলেছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চলাকালেই ট্রেনের ৮ নম্বর টানেলের কাছে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময় চলে। ইতিমধ্যে আহত যাত্রীদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং উদ্ধারকৃতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হচ্ছে।

বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শহীদ রিন্দ জানিয়েছেন, রেলপথের গুরুত্বপূর্ণ অংশে এমন সন্ত্রাসী হামলা নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। রেলওয়ে নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ কাশিফ বলেন, ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিল এবং হামলাকারীরা সেটি টানেলের মধ্যে থামিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেছিল।

সরকারি বাহিনী সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা বেলুচিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতারই অংশ, যা সাম্প্রতিক সময়ে আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেলুচিস্তানে ট্রেনে সশস্ত্র হামলা: নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৮০ যাত্রী উদ্ধার, নিহত ১৩

আপডেট সময় ১০:৫১:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

 

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বোলান এলাকায় যাত্রীবাহী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা চালিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করেছিল সশস্ত্র গোষ্ঠী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৮০ জনকে উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এ ঘটনায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর অন্তত ১৩ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মঙ্গলবার কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালায় নিষিদ্ধ সশস্ত্র গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। বোলান পাসের ধাদার এলাকায় ট্রেনটি থামিয়ে যাত্রীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় হামলাকারীরা এবং নারী-শিশুসহ বহু যাত্রীকে জিম্মি করে।

নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান শুরু করলে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ছড়িয়ে পড়ে এবং যাত্রীদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। রেডিও পাকিস্তান জানায়, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ, ২৬ জন নারী ও ১১ জন শিশু রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী বাকি যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

জিও নিউজের এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তালাল চৌধুরী জানান, দুর্গম এলাকায় ট্রেনটি জিম্মি করার পর নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কিছু যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে কতজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসীরা কিছু যাত্রীকে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে গেছে এবং নারী-শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে, যা উদ্ধার অভিযানকে আরও কঠিন করে তুলেছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চলাকালেই ট্রেনের ৮ নম্বর টানেলের কাছে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময় চলে। ইতিমধ্যে আহত যাত্রীদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং উদ্ধারকৃতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হচ্ছে।

বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শহীদ রিন্দ জানিয়েছেন, রেলপথের গুরুত্বপূর্ণ অংশে এমন সন্ত্রাসী হামলা নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। রেলওয়ে নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ কাশিফ বলেন, ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিল এবং হামলাকারীরা সেটি টানেলের মধ্যে থামিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেছিল।

সরকারি বাহিনী সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা বেলুচিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতারই অংশ, যা সাম্প্রতিক সময়ে আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।