ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম

যে শর্তে ইসরায়েলের সব বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস?

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:০০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 44

ছবি: সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের নতুন মোড়ে, স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের সব বন্দিকে মুক্তির একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম জানিয়েছেন, ইসরায়েল যদি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি মেনে নেয় এবং গাজা থেকে তাদের সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়, তবেই একসঙ্গে সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রস্তাব এমন এক সময়ে এসেছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বন্দিদের ধাপে ধাপে মুক্তির নীতির সমালোচনা করেছেন এবং বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রিয়জনদের একসঙ্গে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

অপরদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, হামাসের হাতে আটক ৭২ জন বন্দির অনেকেই হয়তো ৭ অক্টোবরের হামলায় নিহত হয়েছেন বা বন্দি অবস্থায় মারা গেছেন। তবে হামাস এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের হেফাজতে থাকা ৬০ জন বন্দি নিহত হয়েছেন।

সূত্র অনুযায়ী, হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৫১ জনকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল, যাদের মধ্যে ইসরায়েলি নাগরিক ছাড়াও বিদেশি ও দ্বৈত নাগরিকরা রয়েছেন। এখন পর্যন্ত কাতারসহ কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ এই আলোচনা মধ্যস্থতা করছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪১ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, গাজা থেকে এক শীর্ষ হামাস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামাস শনিবার ছয়জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে এবং বৃহস্পতিবার আরও চারজনের মৃতদেহ ফেরত দেবে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সায়ার জানিয়েছেন, গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা এই সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। ইসরায়েলি সরকার গাজায় মোবাইল হোম এবং নির্মাণ সরঞ্জাম প্রবেশের অনুমতি দেওয়ায় মুক্তির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই প্রস্তাব গাজার চলমান মানবিক সংকট এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এই পদক্ষেপ ভবিষ্যৎ আলোচনা ও শান্তি প্রক্রিয়ায় কীভাবে প্রভাব ফেলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যে শর্তে ইসরায়েলের সব বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস?

আপডেট সময় ০৭:০০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের নতুন মোড়ে, স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের সব বন্দিকে মুক্তির একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম জানিয়েছেন, ইসরায়েল যদি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি মেনে নেয় এবং গাজা থেকে তাদের সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়, তবেই একসঙ্গে সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রস্তাব এমন এক সময়ে এসেছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বন্দিদের ধাপে ধাপে মুক্তির নীতির সমালোচনা করেছেন এবং বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রিয়জনদের একসঙ্গে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

অপরদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, হামাসের হাতে আটক ৭২ জন বন্দির অনেকেই হয়তো ৭ অক্টোবরের হামলায় নিহত হয়েছেন বা বন্দি অবস্থায় মারা গেছেন। তবে হামাস এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের হেফাজতে থাকা ৬০ জন বন্দি নিহত হয়েছেন।

সূত্র অনুযায়ী, হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৫১ জনকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল, যাদের মধ্যে ইসরায়েলি নাগরিক ছাড়াও বিদেশি ও দ্বৈত নাগরিকরা রয়েছেন। এখন পর্যন্ত কাতারসহ কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ এই আলোচনা মধ্যস্থতা করছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪১ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, গাজা থেকে এক শীর্ষ হামাস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামাস শনিবার ছয়জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে এবং বৃহস্পতিবার আরও চারজনের মৃতদেহ ফেরত দেবে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সায়ার জানিয়েছেন, গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা এই সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। ইসরায়েলি সরকার গাজায় মোবাইল হোম এবং নির্মাণ সরঞ্জাম প্রবেশের অনুমতি দেওয়ায় মুক্তির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই প্রস্তাব গাজার চলমান মানবিক সংকট এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এই পদক্ষেপ ভবিষ্যৎ আলোচনা ও শান্তি প্রক্রিয়ায় কীভাবে প্রভাব ফেলে।