যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের পাশাপাশি জন্ম নেওয়া সন্তানদেরও বিতাড়িত করা উচিত: রিপাবলিকান সিনেটর

- আপডেট সময় ০৪:৩১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
- / 4
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের পাশাপাশি তাঁদের সে দেশে জন্ম নেওয়া সন্তানদেরও বিতাড়িত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রিপাবলিকান সিনেটর মার্কওয়েইন মুলিন। গতকাল রোববার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এর আগে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের উদ্দেশ্যে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই আদেশের আইনি বৈধতা নিয়ে জটিলতা থাকলেও, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ের পর সেটি কার্যকরের পথ কিছুটা সহজ হয়েছে।
বর্তমান আইনে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া কোনো শিশুই মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়ে থাকে, তার বাবা-মা বৈধ নাকি অবৈধ অভিবাসী, সেটি বিবেচ্য নয়। তবে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ কার্যকর হলে এই দীর্ঘদিনের নীতির বড় ধরনের পরিবর্তন হবে।
অনুষ্ঠানে মুলিনকে প্রশ্ন করা হয়, যদি কোনো শিশুর মা–বাবা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে, এবং তাঁদের বিতাড়িত করা হয়, তাহলে সেই শিশুদের কী হবে, যাদের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে? জবাবে মুলিন বলেন, মা–বাবা যেখানে থাকবেন, সন্তানদেরও সেখানে থাকা উচিত। তিনি বলেন, ‘আপনি কেনই–বা কোনো শিশুকে তার মা–বাবার থেকে আলাদা করে রাখতে চাইবেন? মা–বাবার সঙ্গে থাকা তাদের অধিকার।’
তবে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের ফলে বাস্তবে কী ঘটতে পারে, তা নিয়ে অভিবাসনকর্মী ও আইনজীবীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ, যদি কিছু অঙ্গরাজ্যে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বজায় থাকে এবং অন্যগুলোতে বাতিল হয়, তাহলে এর প্রভাব কী হবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
বছরের পর বছর ধরে জন্মভিত্তিক নাগরিকত্বের সুবিধা যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল, যা অনেক অভিবাসী পরিবারের জন্য সুরক্ষার আশা জুগিয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পের পদক্ষেপ ও সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর সেটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে থাকা অভিবাসীদের সন্তানদেরও বিতাড়নের বিষয়টি মানবিক ও রাজনৈতিক উভয় দিক থেকেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, শিশুদের জীবন ও নিরাপত্তা নিয়ে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি ভিত্তি জোরালো হলেও, সেটি শেষ পর্যন্ত কার্যকর করা কতটা সম্ভব হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই বিতর্ক চলবে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।