ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

পাকিস্তানেরসেন্ট্রাল জেলে বন্দিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় সুপারসহ ১৫ কর্মকর্তা বরখাস্ত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / 11

ছবি সংগৃহীত

 

পাকিস্তানের খাইরপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় জেল সুপারিনটেনডেন্ট আবদুল গফফার চাঁদিওসহ ১৫ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি) ফিদা হুসাইন মাস্তোই। এই ঘটনায় এক বন্দি নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

কারা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার আদালত থেকে ফেরার পথে জেলের নিকটে বন্দিদের লক্ষ্য করে অজ্ঞাত হামলাকারীরা গুলি চালায়। এ সময় জেল পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন হামলাকারী আহত অবস্থায় আটক হলেও, তার দুই সহযোগী পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে স্থানীয় পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

ঘটনার পরপরই কারা আইজি ফিদা হুসাইন মাস্তোই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং জেল সুপার আবদুল গফফার চাঁদিওকে বরখাস্ত করে সেন্ট্রাল পুলিশ অফিসে রিপোর্ট করতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে সহকারী সুপার, ডিউটি অফিসার, দুইজন হেড কনস্টেবল এবং সাতজন কনস্টেবলসহ মোট ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়।

নিরাপত্তার ত্রুটি অনুসন্ধানে ডিআইজি প্রিজন মালিক আসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, এই হামলার পেছনে পূর্বের কোনো বিরোধের জের থাকতে পারে। কারা আইজি মাস্তোই এ ঘটনায় নিরাপত্তায় অবহেলার প্রমাণ মিললে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ধরনের শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না।”

স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ে বন্দিদের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং হামলাকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

প্রিজন কর্তৃপক্ষের এমন গাফিলতি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যায়, সে জন্য পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়ন করারও দাবি উঠেছে।

ঘটনার পর জেল এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সজাগ রয়েছে বলে জানিয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানেরসেন্ট্রাল জেলে বন্দিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় সুপারসহ ১৫ কর্মকর্তা বরখাস্ত

আপডেট সময় ১২:০০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

 

পাকিস্তানের খাইরপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় জেল সুপারিনটেনডেন্ট আবদুল গফফার চাঁদিওসহ ১৫ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি) ফিদা হুসাইন মাস্তোই। এই ঘটনায় এক বন্দি নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

কারা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার আদালত থেকে ফেরার পথে জেলের নিকটে বন্দিদের লক্ষ্য করে অজ্ঞাত হামলাকারীরা গুলি চালায়। এ সময় জেল পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন হামলাকারী আহত অবস্থায় আটক হলেও, তার দুই সহযোগী পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে স্থানীয় পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

ঘটনার পরপরই কারা আইজি ফিদা হুসাইন মাস্তোই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং জেল সুপার আবদুল গফফার চাঁদিওকে বরখাস্ত করে সেন্ট্রাল পুলিশ অফিসে রিপোর্ট করতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে সহকারী সুপার, ডিউটি অফিসার, দুইজন হেড কনস্টেবল এবং সাতজন কনস্টেবলসহ মোট ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়।

নিরাপত্তার ত্রুটি অনুসন্ধানে ডিআইজি প্রিজন মালিক আসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, এই হামলার পেছনে পূর্বের কোনো বিরোধের জের থাকতে পারে। কারা আইজি মাস্তোই এ ঘটনায় নিরাপত্তায় অবহেলার প্রমাণ মিললে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ধরনের শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না।”

স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ে বন্দিদের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং হামলাকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

প্রিজন কর্তৃপক্ষের এমন গাফিলতি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যায়, সে জন্য পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়ন করারও দাবি উঠেছে।

ঘটনার পর জেল এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সজাগ রয়েছে বলে জানিয়েছে।