শীর্ষক প্রস্তাবে জামায়াতের সমর্থন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদে সীমা আনার পক্ষে অধিকাংশ দল

- আপডেট সময় ০৫:৪৮:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
- / 12
জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) এর নাম ও কাঠামো পরিবর্তনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের এক পর্যায়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামি যে লিখিত প্রস্তাব জমা দিয়েছিল, তাতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে প্রস্তাবিত এনসিসি থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ঐকমত্য কমিশন যে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি’ নামের প্রস্তাব দিয়েছে, সেটিকে অধিকাংশ দলই সমর্থন করেছে। একটি দল ছাড়া বাকি সবাই প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছে, এবং জামায়াতও তাতে একমত পোষণ করেছে বলে জানান তাহের।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণ নিয়েও সংলাপে আলোচনা হয়েছে। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, তিনটি দল ছাড়া সবাই একমত যে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। এটি পরপর দুই মেয়াদ নয়, বরং সর্বমোট ১০ বছরের একটি সীমা নির্ধারণ করা হচ্ছে। তবে সংসদ ভেঙে গেলে ব্যতিক্রম হতে পারে এবং তিনটি মেয়াদেও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সুযোগ থাকতে পারে।
রাষ্ট্রীয় মূলনীতি সম্পর্কিত আলোচনায় তিনি জানান, সাম্য, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা এই চারটি মূল্যবোধ নতুনভাবে মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিউনিস্ট পার্টি ও কিছু বামপন্থি দল ছাড়া অধিকাংশই এ বিষয়ে সম্মত হয়েছে। পঞ্চম সংশোধনী থাকবে এবং পঞ্চদশ সংশোধনী যেটি আওয়ামী লীগ এনেছিল তা বাতিল করে নতুন মূলনীতিগুলো সংযোজনের প্রস্তাবে অধিকাংশ দলের সম্মতি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিমপ্রধান দেশ। এখানকার জনগণের আবেগ-অনুভূতি আল্লাহর ওপর বিশ্বাস, আস্থা এবং সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ যুক্ত থাকার সঙ্গে জড়িত। জামায়াতে ইসলামী মনে করে, এ বিষয়গুলো সংবিধানে থাকা অত্যন্ত জরুরি। সে অনুযায়ীই তারা মত প্রদান করেছে।
জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত এ সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঐক্যমতের পথ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।