ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
উত্তপ্ত প্রেস ক্লাব এলাকা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ গাজীপুরে ৮ ইউনিটে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ প্রস্তুত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যৌতুক হিসেবে ইজিবাইক না পেয়ে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামী আটক ইসরায়েলের হামলা চললে পারমাণবিক আলোচনা নয়: ইরানের প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনায় ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে পারছেন না ইরানি ফরোয়ার্ড রাজনৈতিক কোরবানি হয়নি, তাই এবার বড় গরুর বিক্রি কম: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা চাহিদা বাড়লেও এবার গ্রামাঞ্চলে সর্বত্র লোডশেডিং হয়নি: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সড়ক উপদেষ্টা সংকটে চরম শোকাবহ সকাল পার করছে দেশ: ইসরায়েল প্রেসিডেন্ট

সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ১৩৫টি ফাঁদ জব্দ, আগুনে ধ্বংস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • / 10

ছবি সংগৃহীত

 

 

সুন্দরবনের অভ্যন্তরে হরিণ শিকারের জন্য পাতা ১৩৫টি ফাঁদ জব্দ করেছেন বনরক্ষীরা। শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আওতাধীন দুটি এলাকায় পৃথক অভিযানে এসব ফাঁদ উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে বনপ্রহরীরা ঢাংমারী এলাকার হুলার ভারানী সংলগ্ন একটি খালে পায়ে হেঁটে অভিযান চালান। অভিযানের সময় বনের মধ্যে হরিণ শিকারের উদ্দেশ্যে পাতা ৮২টি মালা (গোলাকৃতি) ফাঁদ জব্দ করা হয়।

একইদিন সকালে নন্দবালা টহল ফাঁড়ির বনপ্রহরীরা সূর্যমুখী খাল সংলগ্ন বনের আরেকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ৫৩টি মালা ফাঁদ জব্দ করেন।

এর আগে, মঙ্গলবার সুপতি স্টেশনের আওতাধীন শাপলা ক্যাম্পের বনরক্ষীরা ছোট সিন্দুক বারিয়া খালের উত্তর পাশে অভিযান চালিয়ে হরিণ শিকারিদের পাতা ৪৫০টি ফাঁদ জব্দ করেন।

বন বিভাগ জানায়, সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই হরিণ শিকারের জন্য এই ধরনের ফাঁদ পাতা হয়। এসব ফাঁদে হরিণ আটকে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয় কিংবা মারা যায়। বিষয়টি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে।

বন কর্মকর্তারা আরও জানান, হরিণ শিকার রোধে নিয়মিত টহল ও বিশেষ অভিযান জোরদার করা হয়েছে। কেউ বনাঞ্চলে অবৈধভাবে প্রবেশ কিংবা বন্যপ্রাণী শিকারের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় বন কর্মকর্তারা জনসাধারণকে এসব অপরাধ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বন্যপ্রাণী রক্ষা আমাদের সকলের দায়িত্ব। কেউ এসব ফাঁদের অস্তিত্ব টের পেলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ বন বিভাগকে অবহিত করার অনুরোধ করছি।”

সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বনবিভাগের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ১৩৫টি ফাঁদ জব্দ, আগুনে ধ্বংস

আপডেট সময় ০২:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

 

 

সুন্দরবনের অভ্যন্তরে হরিণ শিকারের জন্য পাতা ১৩৫টি ফাঁদ জব্দ করেছেন বনরক্ষীরা। শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আওতাধীন দুটি এলাকায় পৃথক অভিযানে এসব ফাঁদ উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে বনপ্রহরীরা ঢাংমারী এলাকার হুলার ভারানী সংলগ্ন একটি খালে পায়ে হেঁটে অভিযান চালান। অভিযানের সময় বনের মধ্যে হরিণ শিকারের উদ্দেশ্যে পাতা ৮২টি মালা (গোলাকৃতি) ফাঁদ জব্দ করা হয়।

একইদিন সকালে নন্দবালা টহল ফাঁড়ির বনপ্রহরীরা সূর্যমুখী খাল সংলগ্ন বনের আরেকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ৫৩টি মালা ফাঁদ জব্দ করেন।

এর আগে, মঙ্গলবার সুপতি স্টেশনের আওতাধীন শাপলা ক্যাম্পের বনরক্ষীরা ছোট সিন্দুক বারিয়া খালের উত্তর পাশে অভিযান চালিয়ে হরিণ শিকারিদের পাতা ৪৫০টি ফাঁদ জব্দ করেন।

বন বিভাগ জানায়, সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই হরিণ শিকারের জন্য এই ধরনের ফাঁদ পাতা হয়। এসব ফাঁদে হরিণ আটকে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয় কিংবা মারা যায়। বিষয়টি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে।

বন কর্মকর্তারা আরও জানান, হরিণ শিকার রোধে নিয়মিত টহল ও বিশেষ অভিযান জোরদার করা হয়েছে। কেউ বনাঞ্চলে অবৈধভাবে প্রবেশ কিংবা বন্যপ্রাণী শিকারের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় বন কর্মকর্তারা জনসাধারণকে এসব অপরাধ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বন্যপ্রাণী রক্ষা আমাদের সকলের দায়িত্ব। কেউ এসব ফাঁদের অস্তিত্ব টের পেলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ বন বিভাগকে অবহিত করার অনুরোধ করছি।”

সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বনবিভাগের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।