ঢাকা ১১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

শেখ মুজিবসহ মুজিবনগর সরকারের সবাই মুক্তিযোদ্ধা: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুজিবনগর সরকারের চার জাতীয় নেতা প্রত্যেকেই মুক্তিযোদ্ধা”— এমন মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সকলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব ও সমন্বয়ে ভূমিকা রেখেছেন। শুধু অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করলেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় না— যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন, তাঁরাও মুক্তিযোদ্ধা।”

সরকারি উপদেষ্টা আরও জানান, মুজিবনগর সরকারের অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মী এবং দেশের পক্ষে বিদেশে কূটনৈতিক প্রচারণা চালানো ব্যক্তিরা “সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা” হিসেবে বিবেচিত হবেন।

তিনি বলেন, “সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা মানে তাদের সম্মান বা মর্যাদা কম নয়। রাষ্ট্র তাদের অবদানের স্বীকৃতি দিচ্ছে। বিতর্ক নয়, এ বিষয়গুলোকে ইতিহাসের বাস্তবতা হিসেবে দেখা উচিত।”

ফারুক-ই-আজম বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নতুন করে নির্ধারণ করে তা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি নিয়ে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “১৯৭২ সালের সংবিধান ও পরবর্তী নীতিনির্ধারণে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা স্পষ্ট ছিল। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এই সংজ্ঞায় কিছু সংশোধন আনা হয়, যা আরও স্পষ্টতা ও সমন্বয়ের জন্য করা হয়েছে।”

মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা নিয়ে ফারুক-ই-আজম বলেন, “জাতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ না করলে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। এটি আমাদের জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগীদের সমান মর্যাদা দিয়েই ইতিহাসকে সম্মান জানানো উচিত।”

উল্লেখ্য, এর আগের দিন মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত ১১টার দিকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সংশোধিত অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ মুজিবসহ মুজিবনগর সরকারের সবাই মুক্তিযোদ্ধা: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

আপডেট সময় ০১:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুজিবনগর সরকারের চার জাতীয় নেতা প্রত্যেকেই মুক্তিযোদ্ধা”— এমন মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সকলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব ও সমন্বয়ে ভূমিকা রেখেছেন। শুধু অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করলেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় না— যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন, তাঁরাও মুক্তিযোদ্ধা।”

সরকারি উপদেষ্টা আরও জানান, মুজিবনগর সরকারের অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মী এবং দেশের পক্ষে বিদেশে কূটনৈতিক প্রচারণা চালানো ব্যক্তিরা “সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা” হিসেবে বিবেচিত হবেন।

তিনি বলেন, “সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা মানে তাদের সম্মান বা মর্যাদা কম নয়। রাষ্ট্র তাদের অবদানের স্বীকৃতি দিচ্ছে। বিতর্ক নয়, এ বিষয়গুলোকে ইতিহাসের বাস্তবতা হিসেবে দেখা উচিত।”

ফারুক-ই-আজম বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নতুন করে নির্ধারণ করে তা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি নিয়ে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “১৯৭২ সালের সংবিধান ও পরবর্তী নীতিনির্ধারণে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা স্পষ্ট ছিল। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এই সংজ্ঞায় কিছু সংশোধন আনা হয়, যা আরও স্পষ্টতা ও সমন্বয়ের জন্য করা হয়েছে।”

মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা নিয়ে ফারুক-ই-আজম বলেন, “জাতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ না করলে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। এটি আমাদের জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগীদের সমান মর্যাদা দিয়েই ইতিহাসকে সম্মান জানানো উচিত।”

উল্লেখ্য, এর আগের দিন মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত ১১টার দিকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সংশোধিত অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।