ঢাকা ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

দিনাজপুর সীমান্ত দিয়ে ১৩ বাংলাদেশিকে পুশইন করল বিএসএফ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৪৮:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

 

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ১৩ জন বাংলাদেশিকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভোরে ভারতের কুশমন্ড থানার গোবরাবিল গেট দিয়ে ওই বাংলাদেশিদের সীমান্ত পার করিয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, পুশইনের শিকার হওয়া ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন নারী এবং ২ জন পুরুষ রয়েছেন। সীমান্ত অতিক্রমের পর তাদের বিজিবির টহল দল স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় আটক করে।

এনায়েতপুর বিওপি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪২ বিজিবির কম্পানি কমান্ডার ঠান্ডু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, “আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিকভাবে স্থানীয় ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে। তাদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।”

তবে কী কারণে এই বাংলাদেশিরা ভারতে গিয়েছিলেন কিংবা কীভাবে তারা বিএসএফের হাতে পড়েন এবং পরে পুশইনের শিকার হন সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এনারা সবাই দিনমজুর শ্রেণির মানুষ এবং বেশিরভাগই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় গৃহকর্মী ও ক্ষুদ্র শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তারা ভারতে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজিবি সূত্র আরও জানায়, পুশইনের পর সীমান্ত এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে বিএসএফের এমন আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের এভাবে পুশইন করে সীমান্তে ফেলে দেওয়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিষয়টি দ্রুত কূটনৈতিকভাবে সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।

প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায়শই এমন পুশইনের ঘটনা ঘটে থাকে। এসব ঘটনায় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই দেশের সীমান্তে সমন্বয় ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এসব পরিস্থিতির সুরাহা জরুরি হয়ে পড়েছে।

বর্তমানে আটক ১৩ জনকে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে নেওয়া হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

দিনাজপুর সীমান্ত দিয়ে ১৩ বাংলাদেশিকে পুশইন করল বিএসএফ

আপডেট সময় ০৩:৪৮:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

 

 

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ১৩ জন বাংলাদেশিকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভোরে ভারতের কুশমন্ড থানার গোবরাবিল গেট দিয়ে ওই বাংলাদেশিদের সীমান্ত পার করিয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, পুশইনের শিকার হওয়া ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন নারী এবং ২ জন পুরুষ রয়েছেন। সীমান্ত অতিক্রমের পর তাদের বিজিবির টহল দল স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় আটক করে।

এনায়েতপুর বিওপি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪২ বিজিবির কম্পানি কমান্ডার ঠান্ডু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, “আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিকভাবে স্থানীয় ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে। তাদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।”

তবে কী কারণে এই বাংলাদেশিরা ভারতে গিয়েছিলেন কিংবা কীভাবে তারা বিএসএফের হাতে পড়েন এবং পরে পুশইনের শিকার হন সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এনারা সবাই দিনমজুর শ্রেণির মানুষ এবং বেশিরভাগই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় গৃহকর্মী ও ক্ষুদ্র শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তারা ভারতে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজিবি সূত্র আরও জানায়, পুশইনের পর সীমান্ত এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে বিএসএফের এমন আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের এভাবে পুশইন করে সীমান্তে ফেলে দেওয়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিষয়টি দ্রুত কূটনৈতিকভাবে সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।

প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায়শই এমন পুশইনের ঘটনা ঘটে থাকে। এসব ঘটনায় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই দেশের সীমান্তে সমন্বয় ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এসব পরিস্থিতির সুরাহা জরুরি হয়ে পড়েছে।

বর্তমানে আটক ১৩ জনকে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে নেওয়া হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।