রাষ্ট্রে স্বচ্ছতা আনতে সব প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহির তাগিদ আলী রীয়াজের

- আপডেট সময় ০৩:৪৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
- / 18
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, এমন একটি জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান নাগরিকের অধিকার হরণ করতে না পারে এবং কেউ যেন নিজেকে উপেক্ষিত মনে না করেন।
শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, “একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। সেখানে আইনের শাসন থাকবে, বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ হবে এবং প্রত্যেক নাগরিকের দোরগোড়ায় সুবিচার পৌঁছে যাবে।”
তিনি জানান, জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের আলোচনা চলমান। এই সনদে সব নাগরিক অধিকার সুরক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আলী রীয়াজ। তাঁর ভাষায়, “এই সুরক্ষা ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সমাজ কল্পনা করা যায় না।”
আলোচনায় ইউপিডিএফের ভূয়সী প্রশংসা করে আলী রীয়াজ বলেন, “ইউপিডিএফ একটি ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের রাজনৈতিক দল। দীর্ঘদিন ধরে তারা নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েও তারা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতিশীল।”
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। আলোচনায় আরও অংশ নেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
ইউপিডিএফের পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন সংগঠক মাইকেল চাকমা। উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অমল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ইউপিডিএফ সদস্য জিকো ত্রিপুরা এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি ও ইউপিডিএফ সদস্য সুনয়ন চাকমা।
জাতীয় ঐকমত্য গঠনের প্রয়াসে আয়োজিত এই বৈঠকে নাগরিক অধিকার, সুবিচার, এবং সমতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়।