ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৪৩:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / 1

ছবি সংগৃহীত

 

রাজধানীর মগবাজারের একটি হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ এক সৌদি প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন লক্ষ্মীপুরের মনির হোসেন, তার স্ত্রী এবং শিশুপুত্র। পরিবার দাবি করেছে, হোটেলের খাবারে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হতে পারে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মনির হোসেন সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে শনিবার (২৮ জুন) স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় আসেন চিকিৎসার জন্য। তবে নির্ধারিত দিনে ডাক্তারের সিরিয়াল না পাওয়ায় পরিবারটি মগবাজারের ‘সুইট স্লিপ’ নামের একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে।

মনির হোসেনের এক চাচা জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি তাদের সঙ্গে ছিলেন এবং একসঙ্গে খাবার খান। রাতের দিকে হঠাৎ তিনজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে শনিবার ভোরে হোটেল থেকে ফোন করে চাচাকে জানানো হয়, মনির হোসেন, তার স্ত্রী ও সন্তান সবাই গুরুতর অসুস্থ।

তাৎক্ষণিকভাবে চাচা এসে তাদের আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ হোটেল কক্ষটি সিলগালা করে এবং খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে। এছাড়া যে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার সরবরাহ করা হয়েছিল, সেখান থেকেও আলামত জব্দ করা হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের পাশাপাশি আলামত পরীক্ষা করা হবে। এটি খাবারে বিষক্রিয়া, আত্মহত্যা না কি অন্য কোনো কারণে ঘটেছে—সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মনির হোসেনের পরিবারের দাবি, হোটেলের খাবারের কারণেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ এখনই কোনো চূড়ান্ত বক্তব্য দিচ্ছে না। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে তারা।

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রবাসী মনির হোসেনের অকাল মৃত্যুতে পরিবার ও স্বজনরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দ্রুত সময়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু

আপডেট সময় ০৮:৪৩:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

 

রাজধানীর মগবাজারের একটি হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ এক সৌদি প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন লক্ষ্মীপুরের মনির হোসেন, তার স্ত্রী এবং শিশুপুত্র। পরিবার দাবি করেছে, হোটেলের খাবারে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হতে পারে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মনির হোসেন সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে শনিবার (২৮ জুন) স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় আসেন চিকিৎসার জন্য। তবে নির্ধারিত দিনে ডাক্তারের সিরিয়াল না পাওয়ায় পরিবারটি মগবাজারের ‘সুইট স্লিপ’ নামের একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে।

মনির হোসেনের এক চাচা জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি তাদের সঙ্গে ছিলেন এবং একসঙ্গে খাবার খান। রাতের দিকে হঠাৎ তিনজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে শনিবার ভোরে হোটেল থেকে ফোন করে চাচাকে জানানো হয়, মনির হোসেন, তার স্ত্রী ও সন্তান সবাই গুরুতর অসুস্থ।

তাৎক্ষণিকভাবে চাচা এসে তাদের আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ হোটেল কক্ষটি সিলগালা করে এবং খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে। এছাড়া যে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার সরবরাহ করা হয়েছিল, সেখান থেকেও আলামত জব্দ করা হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের পাশাপাশি আলামত পরীক্ষা করা হবে। এটি খাবারে বিষক্রিয়া, আত্মহত্যা না কি অন্য কোনো কারণে ঘটেছে—সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মনির হোসেনের পরিবারের দাবি, হোটেলের খাবারের কারণেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ এখনই কোনো চূড়ান্ত বক্তব্য দিচ্ছে না। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে তারা।

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রবাসী মনির হোসেনের অকাল মৃত্যুতে পরিবার ও স্বজনরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দ্রুত সময়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।