রাশিয়ার যুদ্ধে আট বাংলাদেশি
কালের কণ্ঠ পত্রিকায় ‘রাশিয়ার যুদ্ধে আট বাংলাদেশি’ প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কারখানা ও ক্যান্টনমেন্টে মালি বা বাবুর্চির কাজ দেওয়ার কথা বলে ‘ড্রিম হোম ট্রাভেল’ নামক একটি এজেন্সি থেকে বাংলাদেশি তরুণদেরকে রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়।
এই এজেন্সির মধ্যস্থতায় পাঠানো ১০ তরুণের মধ্যে আটজন সেখানে গিয়ে যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে অনেকের কোনো খোঁজ মিলছে না।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ড্রিম হোম ট্রাভেলসের চেয়ারম্যান এম এম আবুল হাসান ভাষ্য মালি বা বাবুর্চির ভিসাতেই ১০ জনকে রাশিয়া পাঠিয়েছিলেন তিনি। তবে তাদের যুদ্ধের মাঠে ঠেলে দেওয়া হবে—এ বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না।
যুদ্ধের প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু সেনা ক্যাম্পে চাকরি, তাই আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে তাদের যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এখানে আমাদের কোনো দায় নেই। এখন আমরা তাদের ফেরত আনতে চেষ্টা করছি।’ দোহারের নবাবগঞ্জের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে এই তরুণদের রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল বলে জানান তিনি।
স্থানীয় দালাল মনজুরুল হোসেনও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, আরমান তাঁর নিকটাত্মীয়। তিনি নিয়মিত ওই এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠান। ভালো সুযোগ থাকায় আরমানকে রাশিয়ায় পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করা হবে, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। তিনি নিজেও এজেন্সি কর্তৃক মারাত্মক প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন।