ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভূমি সেবায় হয়রানির অবসান ঘটাতে মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ: সিনিয়র সচিব কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ১ ভারতীয় সেনা নিহত: নতুন করে বাড়ছে উত্তেজনা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে ‘বাধা সৃষ্টি করছে’ সরকারের একটি অংশ: রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপেক্ষিত থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: রিজওয়ানা হাসান রামগড়ে সীমান্তে ৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ শক্তিশালী মেঘমালায় উত্তাল বঙ্গোপসাগর, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জাপানে ৫০ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ট্যাক্সিচালক গ্রেপ্তার, ৩০০০ ছবি-ভিডিও উদ্ধার সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে বড় পদক্ষেপ, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি

সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে বড় পদক্ষেপ, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:০১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে খসড়ার বিস্তারিত বিষয়বস্তু এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তৈরি প্রাথমিক খসড়া অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চারটি কর্মকাণ্ডকে শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কোনো কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অন্য কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য তৈরি, শৃঙ্খলা বিঘ্ন বা কর্তব্যে বাধা সৃষ্টি করা; যথাযথ কারণ ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা বা কর্তব্যে অবহেলা; অন্য কর্মচারীকে দায়িত্বে অবহেলায় প্ররোচিত করা; এবং অন্য কর্মচারীর দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করা।

এই অপরাধগুলোর জন্য শাস্তি হিসেবে চাকরি থেকে বরখাস্ত, অপসারণ অথবা নিম্নপদে অবনমনের বিধান রাখা হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীদের মতে, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের মাধ্যমে মূলত চার দশকের পুরনো বিধানগুলোই নতুনভাবে আনা হচ্ছে।

বৈঠকে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়েও আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত সংগ্রহ করে উপদেষ্টা পরিষদে তা উপস্থাপন করবে। বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলোর সময়সীমা ও সম্ভাব্য প্রভাবও এতে বিবেচনায় আনা হবে। সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এছাড়াও আজকের বৈঠকে আরও তিনটি খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘দ্য প্রোটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে নৌ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক এবং ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত ছাত্র-জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে বড় পদক্ষেপ, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

আপডেট সময় ০৭:০১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে খসড়ার বিস্তারিত বিষয়বস্তু এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তৈরি প্রাথমিক খসড়া অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চারটি কর্মকাণ্ডকে শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কোনো কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অন্য কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য তৈরি, শৃঙ্খলা বিঘ্ন বা কর্তব্যে বাধা সৃষ্টি করা; যথাযথ কারণ ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা বা কর্তব্যে অবহেলা; অন্য কর্মচারীকে দায়িত্বে অবহেলায় প্ররোচিত করা; এবং অন্য কর্মচারীর দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করা।

এই অপরাধগুলোর জন্য শাস্তি হিসেবে চাকরি থেকে বরখাস্ত, অপসারণ অথবা নিম্নপদে অবনমনের বিধান রাখা হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীদের মতে, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের মাধ্যমে মূলত চার দশকের পুরনো বিধানগুলোই নতুনভাবে আনা হচ্ছে।

বৈঠকে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়েও আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত সংগ্রহ করে উপদেষ্টা পরিষদে তা উপস্থাপন করবে। বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলোর সময়সীমা ও সম্ভাব্য প্রভাবও এতে বিবেচনায় আনা হবে। সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এছাড়াও আজকের বৈঠকে আরও তিনটি খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘দ্য প্রোটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে নৌ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক এবং ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত ছাত্র-জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া।