ঢাকা ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস, মুক্তি পেল ৬০০ ফিলিস্তিনি- যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 41

ছবি: সংগৃহীত

 

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর মতে, এই ধাপে আরও জিম্মি ও বন্দিবিনিময়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধিদল দোহা বা কায়রোতে গিয়ে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছি, আশা করছি সমাধানের দিকে অগ্রসর হতে পারব।’

আজকের বন্দিবিনিময়ের মধ্য দিয়ে ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোরে হামাস চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করে। এর আগে, ইসরায়েল ৬০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, নিহতদের মরদেহ শনাক্তকরণের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিহতরা হলেন ওহাদ ইয়াহালোমি, সাচি ইদান, ইতজিক এলগারাত ও সোলোমো মনসুর।

ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির পর রামাল্লায় উল্লাস দেখা যায়। অনেককে আত্মীয়স্বজনের কাঁধে চড়ে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়, আবার কেউ কেউ আবেগে কেঁদে ফেলেন। তবে ইসরায়েল প্রথমে এই মুক্তি স্থগিত করেছিল, কারণ তাদের অভিযোগ ছিল, হামাস জিম্মিদের সঙ্গে ‘অপমানজনক আচরণ’ করেছে।

হামাস পাল্টা জানায়, আগে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে, তারপরই তারা যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে আলোচনা করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, দ্বিতীয় ধাপে আরও বন্দিবিনিময়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন প্রশ্ন, উভয় পক্ষ কতটা ছাড় দিতে রাজি হবে এবং নতুন চুক্তি কবে বাস্তবায়িত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস, মুক্তি পেল ৬০০ ফিলিস্তিনি- যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু

আপডেট সময় ১০:৪৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর মতে, এই ধাপে আরও জিম্মি ও বন্দিবিনিময়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধিদল দোহা বা কায়রোতে গিয়ে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছি, আশা করছি সমাধানের দিকে অগ্রসর হতে পারব।’

আজকের বন্দিবিনিময়ের মধ্য দিয়ে ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোরে হামাস চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করে। এর আগে, ইসরায়েল ৬০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, নিহতদের মরদেহ শনাক্তকরণের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিহতরা হলেন ওহাদ ইয়াহালোমি, সাচি ইদান, ইতজিক এলগারাত ও সোলোমো মনসুর।

ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির পর রামাল্লায় উল্লাস দেখা যায়। অনেককে আত্মীয়স্বজনের কাঁধে চড়ে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়, আবার কেউ কেউ আবেগে কেঁদে ফেলেন। তবে ইসরায়েল প্রথমে এই মুক্তি স্থগিত করেছিল, কারণ তাদের অভিযোগ ছিল, হামাস জিম্মিদের সঙ্গে ‘অপমানজনক আচরণ’ করেছে।

হামাস পাল্টা জানায়, আগে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে, তারপরই তারা যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে আলোচনা করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, দ্বিতীয় ধাপে আরও বন্দিবিনিময়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন প্রশ্ন, উভয় পক্ষ কতটা ছাড় দিতে রাজি হবে এবং নতুন চুক্তি কবে বাস্তবায়িত হবে।