ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির উদ্যোগে নতুন করে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (১৪ মে) তেহরানের বিরুদ্ধে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ট্রেজারি বিভাগ জানায়, ইরান সরকারকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে অভ্যন্তরীণ সহায়তা এবং গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ সরবরাহ করার অভিযোগে ছয় ব্যক্তি ও ১২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইরান এবং চীনে অবস্থান করছে।

বিভাগটি আরও জানায়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা ব্যক্তিরা ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) একটি উপ-সংগঠনকে সহায়তা করেছে। তারা আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কার্বন ফাইবার উন্নয়নের কাজ তদারকি করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে। এবারও সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই নতুন নিষেধাজ্ঞা এসেছে। অন্যদিকে, তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চললেও নিষেধাজ্ঞা আরোপে হতাশা প্রকাশ করেছে ইরান।

মঙ্গলবার তেহরান জানিয়েছিল, পারমাণবিক আলোচনায় অগ্রগতি হলেও যদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ অব্যাহত থাকে, তাহলে সেই সমঝোতা গ্রহণযোগ্য হবে না।

এদিকে, একই দিন মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ আরও একটি বড় পদক্ষেপ নেয়। একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে ২০টিরও বেশি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ট্রেজারি বিভাগ দাবি করেছে, এই নেটওয়ার্কটি দীর্ঘদিন ধরে ইরানি তেল চীনে পাচার করে আসছিল।

এর আগে গত সপ্তাহে, ইরানি তেল আমদানির দায়ে চীনের একটি স্বাধীন ‘টিপট’ তেল শোধনাগার এবং কয়েকটি বন্দর টার্মিনাল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ওয়াশিংটন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞা ইরানের প্রতিরক্ষা খাত ও বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় ধরনের চাপ তৈরি করবে। তবে ওয়াশিংটনের এমন পদক্ষেপ পারমাণবিক আলোচনার ভবিষ্যতকে কতটা প্রভাবিত করবে, তা এখনো অনিশ্চিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত

আপডেট সময় ১০:৩৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

 

ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির উদ্যোগে নতুন করে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (১৪ মে) তেহরানের বিরুদ্ধে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ট্রেজারি বিভাগ জানায়, ইরান সরকারকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে অভ্যন্তরীণ সহায়তা এবং গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ সরবরাহ করার অভিযোগে ছয় ব্যক্তি ও ১২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইরান এবং চীনে অবস্থান করছে।

বিভাগটি আরও জানায়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা ব্যক্তিরা ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) একটি উপ-সংগঠনকে সহায়তা করেছে। তারা আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কার্বন ফাইবার উন্নয়নের কাজ তদারকি করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে। এবারও সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই নতুন নিষেধাজ্ঞা এসেছে। অন্যদিকে, তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চললেও নিষেধাজ্ঞা আরোপে হতাশা প্রকাশ করেছে ইরান।

মঙ্গলবার তেহরান জানিয়েছিল, পারমাণবিক আলোচনায় অগ্রগতি হলেও যদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ অব্যাহত থাকে, তাহলে সেই সমঝোতা গ্রহণযোগ্য হবে না।

এদিকে, একই দিন মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ আরও একটি বড় পদক্ষেপ নেয়। একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে ২০টিরও বেশি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ট্রেজারি বিভাগ দাবি করেছে, এই নেটওয়ার্কটি দীর্ঘদিন ধরে ইরানি তেল চীনে পাচার করে আসছিল।

এর আগে গত সপ্তাহে, ইরানি তেল আমদানির দায়ে চীনের একটি স্বাধীন ‘টিপট’ তেল শোধনাগার এবং কয়েকটি বন্দর টার্মিনাল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ওয়াশিংটন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞা ইরানের প্রতিরক্ষা খাত ও বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় ধরনের চাপ তৈরি করবে। তবে ওয়াশিংটনের এমন পদক্ষেপ পারমাণবিক আলোচনার ভবিষ্যতকে কতটা প্রভাবিত করবে, তা এখনো অনিশ্চিত।